আজ || বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিল্পী রাণী এবং আন্না বেগম       গোপালপুরের ঝাওয়াইলে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ       গোপালপুরে দিনব্যাপী হাজী সম্মেলন অনুষ্ঠিত       গোপালপুরে বারেক মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী পালন       গোপালপুরে বিদ্যুৎপৃষ্টে স্কুল ছাত্রের মৃত্যু       গোপালপুরে ওয়ার্ডমাস্টার প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার প্রদান       গোপালপুরে সরকারি জমি দখল নিতে দুই পক্ষের উত্তেজনা, সড়ক অবরোধ       গোপালপুরে নূরানী মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত       দেড় যুগ পরে গোপালপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ       গোপালপুরে স্বপ্নছোঁয়া এগ্রো ফার্মের ১০০ একর জমিতে ভূট্টার বীজ বপন    
 


ছাতিম মানুষের পরম উপকারী গাছ

মোঃ শামছুল আলম চৌধুরী :

কার্তিকের প্রায় শেষ। ধামন্ডির ২৭ এর রাস্তার মাঝামাঝি। জেনেটিক প্লাজা। প্লাজার উত্তর-পশ্চিম কোনে চলার পথের ধারের গাছ। সন্ধ্যায় এদিক দিয়ে আসতেই নাকে হালকা ঝাঁঝাঁলো সুগন্ধি পেলাম। দেখলাম মাঝাঁরি আকৃতির একটি গাছ আর তাতে ঝুলছে পুস্পমুঞ্জরি। আর সেই গাছই সুভাস ছড়াচ্ছে। বুঝলাম এটি ছাতিম গাছ। গ্রাম বাংলার একটি বৃক্ষ। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে এটিকে ‘সাইতান’ গাছও বলে থাকে। কথিত আছে শয়তান নাকি এ গাছে এসে ভর করতো। কিন্তু এ কথা এখন শুধুই কল্পকাহিনী। আসলে ছাতিম মানুষের একটি পরম উপকারী গাছ। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম ‘Alstonia Scholars’ আর প্রজাতির নাম হচ্ছে ‘scholoars’। ল্যাটিন শব্দে মানে বুঝায় শিশুদের লেখার জন্য এই গাছের কান্ডের তৈরি স্লেট। আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া। এ গাছটি জলসিক্ত স্থান, আদ্র ও কর্দমাক্ত স্থানে জন্মায়।

ছাতিমের পত্রাবর্তে সাধারণত ৬-৭টি পাতা থাকে। ফলে সপ্তপর্ণা নামেও সংস্কৃতিতে ছাতিমের পরিচিতি রয়েছে। আম গাছ যেমন আমাদের দেশে জাতীয় উদ্ভিদ তেমনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গের উদ্ভিদ হলো ছাতিম। কামিনি, মধুমুঞ্জরি (মাধবিলতা), শিউলি, বাতাবিলেবু এ সকল ফুলের ঘ্রাণ একটি নির্দিষ্ট দুর থেকে পাওয়া যায়। তবে ছাতিম ফুলের ঘ্রান বেশি দুর থেকে পাওয়া যায়। ছাতিম ফুলের সুবাস অনেক দুর পর্যন্ত আমোদিত হয়ে থাকে। দিনের বেলায় ফুলের সুবাসের তীব্রতা কম থাকে। রাতের বেলায় ছাতিম সুবাসের তীব্রতা বেড়ে যায়।

ছাতিমের রয়েছে অনেক ভেষজ গুণ। যেমন, এর বাকল ডায়েরিয়া, হাঁপানি, ক্ষত, জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, একজিমা, আমাশয়, ম্যালেরিয়া ও হ্রদরোগে ব্যবহ্রত হয়ে থাকে। ফুল ফোটার সময় গাছের নিচে অনেকক্ষণ বসে থাকলে ঝিমুনি আসবে। আপনার শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিকতা আনায়নের জন্য অনেকক্ষণ ফুল ফোটা ছাতিম গাছের নিচে বসে থাকলে সুস্থতাবোধ করতে পারেন।

বিরল প্রজাতির এই গাছ প্রায় বিলপ্তির পথে। তবে, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে অনেক শহরেই এই গাছের বেশ কিছু চারা রোপন করা হচ্ছে। ঢাকার রাজপথের পাশে এই গাছ ইদানিং দৃষ্টি গোচর হয়ে থাকে। গোপালপুর থানা ঘাট থেকে ঝাওয়াইল বাজার পর্যন্ত কিংবা পৌরসভার মোড় থেকে নগদা শিমলা হয়ে ভেংগুলা পর্যন্ত সড়কের দু’ধারে ছাতিম গাছ রোপনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে। বেড়াডাকুরী গ্রামের মরহুম আবুল কাশেমের ছেলে মামুন আল-হাসানকে বলেছিলাম ছাতিম গাছের সন্ধান জানাতে।অনুসন্ধানে জানা গেল ঝাওয়াইল ভূমি অফিসের সংলগ্ন একটি ছাতিম গাছ রয়েছে। আমরা সবাই ছাতিম গাছ লাগাই পরিবেশ রক্ষা ও স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করি।

পরিচিত :
মোঃ শামছুল আলম চৌধুরী
যুগ্ম-সচিব (অব:)
বিশেষ সংবাদদাতা, গোপালপুর বার্তা

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!