নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের ফরম ফিলাপের সমুদয় টাকা ছাত্রলীগের সাত কাউয়া মেরে দেয়ায় ৩৮ পরীক্ষার্থী আজ রবিবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বরে ফরম ফিলাপের সময়ে হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল খান এবং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেনের নের্তৃত্বে সাত নেতা কলেজের ৩৮ পরীক্ষার্থীকে কম টাকায় ফরমপূরনের আশ্বাস দিয়ে দশ থেকে পনেরো হাজার করে টাকা আদায় করে। ওই দুই ছাত্রলীগ সভাপতির সাথে দুস্কর্মে আরো জড়িত ছিল পরাগ, সুমন, শিপু, সুমন ২ ও ইলিয়াস নামের ছাত্রলীগ নেতা।
গত রবিবার সন্ধ্যায় এসব হতভাগ্য পরীক্ষার্থীরা প্রতিকারের দাবিতে আওয়ামীলীগ অফিসে ভিড় জমায়। এর মধ্যে কান্নাভেজা কন্ঠে কবির হোসেন অভিযোগ করেন, গত ডিসেম্বরে নানা প্রলোভনে তাদের নিকট থেকে টাকা আদায় করা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র বাবদ তিনশ টাকা করে দুদিন আগে আদায় করে। আজ রবিবার সকাল দশটায় পরীক্ষা শুরুর আগে অধ্যক্ষ সাফ জানিয়ে দেন বিধিনুযায়ী ফরম পূরণ না করায় প্রবেশপত্র আসেনি। তাই তাদের পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ খবরে ৩৮ পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ জানান, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। গতবারও ছাত্রলীগের এ সিন্ডিকেট এ ধরনের অপকর্ম করেছিল। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ইউনুস ইসলাম তালুকদারে হস্তক্ষেপে অবসান ঘটে। এবারো একই ধরনের ঘটনা ঘটলো। ছাত্রলীগ নামধারী এসব কাউয়াদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল হক ফরিদ জানান, ছাত্রলীগ নামধারী এ সাত জনকে দল থেকে বহিস্কার করার ডকুমেন্টারীর প্রক্রিয়া চলছে। সাধারণ ছেলে মেয়েদের শিক্ষা জীবন নষ্ট করা এসব ছেলেরা কোন ভাবেই ছাত্রলীগ নেতা হতে পারে না।
হেমনগর কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।