ঘুম ভালো হবার জন্য অনেকেই পান করেন এক গ্লাস দুধ। কেউ পান করেন এক কাপ ভেষজ চা। কিন্তু আজ আপনাদের বলবো এমন এক পানীয়ের কথা, ঘুমাতে যাবার আগে যা পান করলে ওজন কমানোসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা পাবেন আপনি। এই পানীয়ের নাম হলো গোল্ডেন মিল্ক, আর তার মূল উপাদান হলো হলুদ গুঁড়ো।
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় কয়েক শতাব্দী ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে গোল্ডেন মিল্ক। এর উপাদান হলো হলুদ, নারিকেলের দুধ এবং কখনো কখনো এতে যোগ করা হয় নারিকেল তেল। অল্প পরিমাণে গোলমরিচের গুঁড়ো যোগ করা হতে পারে, এতে হলুদের উপকারিতা বাড়ে। যোগ করা যেতে পারে অন্যান্য কিছু উপাদান। গরমের রাতে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা গোল্ডেন মিল্ক উপভোগ করতে পারেন। কী করে তৈরি করবেন এই পানীয়?
যা যা লাগবে
– ১ কাপ নারিকেল দুধ
– আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– আধা চা চামচ আদা গুঁড়ো
– আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো
– এক চা চামচ মধু
– অল্প নারিকেল তেল
যা করতে হবে
সবগুলো উপাদান একটি জারে নিন। জারের মুখ বন্ধ করে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন ১ মিনিট। এরপর এতে কিছু আইস কিউব দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন এই পানীয় তৈরির ভিডিওটি।
হলুদের উপকারিতা
২০১৩ সালের এক গবেষণায় হলুদের প্রচুর প্রশংসা করা হয়। এটি একটি অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি মশলা। বেশকিছু রোগের বিপক্ষে লড়াই করে তা। এসব রোগের মাঝে আছে ক্যান্সার এবং আলঝেইমারস। ইনফ্লামেশন কমায় বলে তা গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং বদহজম কমাতেও সহায়ক। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে তা ওজন কমাতে কাজে লাগে। এর পাশাপাশি সে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট হিসেবেও দারুণ। তা মেজাজ ভালো করে, স্ট্রেস কমায়, ঘুম ভালো করে এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।
নারিকেল দুধের উপকারিতা
হজমের জন্য উপকারি হলো নারিকেল দুধ। এতে থাকা প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইট এবং উপকারি ফ্যাট অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং যাদের IBS আছে তা উপশমে সাহায্য করে। হলুদের মতোই এর অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য আছে এবং তা ওজন কমাতে সহায়ক। যারা ব্যায়াম করেন, তাদের মেদ ঝরাতে এবং পেশি গঠনে কাজে আসে নারিকেল দুধে থাকা ফ্যাটি এসিড MCT।
নারিকেল তেলের উপকারিতা
নারিকেল তেলের আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, তা পেট ভালো রাখতে কাজে আসে। এর পাশপাশি তা শরীরে ভালো কোলেস্টেরল HDL বাড়াতে সাহায্য করে।
সুত্র: পপসুগার