সৃষ্টিকর্তার যত সৃষ্টি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উৎকৃষ্ট হল মানব দেহ। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে কেনো– তার উত্তর হলো আজ পর্যন্ত মানব দেহ নিয়ে যত গবেষণা হয়েছে তা আর কোন সৃষ্টি নিয়ে করা হয়নি। এতো রহস্য ও জটিলতায় পূর্ণ এই মানব দেহের কার্যপ্রনালী এতোটা সহজভাবে প্রতিনিয়ত কীভাবে হচ্ছে সেটাও আরেক রহস্য।
আমাদের চোখে আমরা যা কিছু দেখি চোখ ঠিক তার উল্টো প্রতিবিম্ব পাঠায় মস্তিষ্কে আর যে সিস্টেম এই উল্টো প্রতিবিম্ব সোজা করে দেখায় সেই সিস্টেম নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দেহে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে একটি কাপড় কাচার সাবান এবং ৭৬টি মোমবাতি তৈরি করা যাবে। যে পরিমাণ ফসফরাস আছে তা দিয়ে প্রায় ৮০০টি দিয়াশলাই তৈরি করা যাবে। যে পরিমাণ কার্বন আছে, তা দিয়ে ৯০০০টি পেনসিলের শিষ তৈরি করা যাবে। যে পরিমাণ লৌহ আছে তা দিয়ে ২৫ পাওয়ারের ১টি বাল্ব অন্তত ৫ মিনিট জ্বালিয়ে রাখা যাবে।
১. একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫ কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।
২. দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।
৩. রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।
৪. দেহের সব শিরাকে পাশাপাশি সাজালে দেড় একর জমির প্রয়োজন হবে।
৫. একজন মানুষের স্নায়ুতন্ত্র এত লম্বা যে তা দিয়ে পৃথিবীকে ৭ বার পেঁচানো যাবে।
৬. কোন অনুভূতি স্নায়ুতন্ত্রের মধ্য দিয়ে ঘন্টায় ২০০ মাইল বেগে প্রবাহিত হয়।
৭. দেহে ও মনে অনুভূতি আসলে তা মস্তিষ্কে পৌঁছতে ০.১ সেকেন্ড সময় লাগে।
৮. একজন শিশুর জন্মের সময় হাড় থাকে ৩৫০ টি।
৯. একজন মানুষ সারা জীবনে ৪০ হাজার লিটার মূত্র ত্যাগ করে।
১০. একজন মানুষের শরীরে চামড়ার পরিমাণ হচ্ছে ২০ বর্গফুট।
১১. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
১২. মানুষের শরীরে যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে ৭ টি বড় জাতের কেক তৈরি সম্ভব।
১৩. মানুষের শরীরে ৬৫০ টি পেশী আছে। কোন কোন কাজে ২০০ টি পেশী সক্রিয় হয়। মুখমন্ডলে ৩০ টির বেশী পেশী আছে। হাসতে গেলে ১৫ টির বেশী পেশী সক্রিয় হয়।
১৪. একস্থান থেকে শুরু করে সমগ্র শরীর ঘুরে ঐ স্থানে ফিরে আসতে একটি রক্ত কণিকা ১,০০,০০০ কিমি পথ অতিক্রম করে অর্থাৎ ২.৫ বার পৃথিবী অতিক্রম করতে পারে।
১৫. আমাদের মস্তিষ্ক প্রায় ১০,০০০ টি বিভিন্ন গন্ধ চিনতে ও মনে রাখতে পারে।
তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট