নিজস্ব সংবাদদাতা :
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত অভিযোগ পাঠ করছেন সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার রাবেয়া বেগম
হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটের পর এখন সাজানো মামলায় হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ করেছেন উপজেলার হাদিরা ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের গৃহবধূ রাবেয়া বেগম। গত শনিবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলানে তিনি এ ধরনের অভিযোগ করেন। এ সময়ে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, জা নাসিমা বেগমসহ কয়েকজন পড়শি। লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, তার স্বামী আব্দুল মজিদ রাজশাহীতে আনসার ব্যাটালিয়ানে চাকরি করেন। সন্তান নিয়ে স্বামীর ভিটেয় থাকেন তিনি। কিছু দিন আগে পাড়ার মাস্তান শামসুল ও তার দলবলের কুদৃষ্টি পড়ে তার উপর। তাদের পাত্তা না দেয়ায় এবং অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল না পাওয়ায় গত ৫ জুন জমিজমা নিয়ে বিরোধ অবসানের জন্য তার বাড়িতে এক সালিশী বৈঠক শেষে গ্রাম্য মাতব্বরগণ বাড়িতে খেতে বসলে সন্ত্রাসী শামসুল ক্যাডার শাবলু, রাসেল, মিলনসহ ১০/১২জন লাঠিসোটা, রামদা, ছুরিচাকু নিয়ে হামলা চালায়। তারা রাবেয়া এবং সেনাবাহিনীর জওয়ান দেবর শহীদুলের দুটি ঘরে ভাংচুর চালায়। টিনের বেড়া, আসবাব ও তৈজসপত্র কুপিয়ে ছত্রাখান করে নগদ ৩১ হাজার টাকা লুট করে। প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় রাবেয়া, দেবর শহীদুলসহ ৪জন আহত হয়। গত ৭ জুলাই থানায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। এখন মামলা তুলে নেয়ার জন্য রাবেয়াকে ইজ্জতহানির হুমকি দিচ্ছে শামসু। এতে তিনি আতঙ্কের মধ্যে আছেন। উপরন্তুু সন্ত্রাসী শামসু প্রতিশোধ নেয়ার জন্য গত ১১ জুলাই রাতে নিজ বাড়ি থেকে একশ দূরের পরিত্যক্ত বেড়াবিহীন জীর্ণ ঘরে আগুন লাগিয়ে সাজানো মামলার লক্ষ্যে রাবেয়াসহ তাদের ৬/৭জনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ওয়ার্ড মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম জানান, এটি সাজানো ঘটনা। শামছু একজন সন্ত্রাসী। রাবেয়া মামলা তুলে না নেয়ায় সাজানো মামলায় হয়রানির ফন্দি এটেছে। হাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল কাশেম জানান, শামছু জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন চালায়। দীর্ঘ দিন এলাকাছাড়া ছিল। সম্প্রতি লীগের এক পাতি নেতার প্রশ্রয়ে এলাকায় এসে আবার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড শুরু করেছে। এব্যাপারে তদন্তকারি দারোগা আব্দুল হাই জানান, ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে।