আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


হেমনগর জমিদারের সাতকাহন (২) ধন সম্পদ লোভে নরবলি দেয়ার উপাখ্যান

 

  • অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন

Gopalpur Picture 21.08.2015

হেমনগর রাজবাড়ির তিনশ গজ দক্ষিনে ছিল সাজানো গোছানো বাঈজীখানা। এর অন্দরমহল পেরিয়ে কয়েকগজ এগুলেই  হাতিশালা। পাশেই অশ্বশালা। আরো সামনে এগুলে যমুনার ¯্রােতধারায় মিশে যাওয়া শাখারিয়া খাল। খাল পাড়ে ভিড়তো রাজকীয় লঞ্চ। রাজবাড়ির উত্তরে সুউচ্চ ভিটায় ছিল পালকি টানার বেহারা পল্লী। তখন হেমচন্দ্রের জমিদারী ছিল ময়মনসিংহ জেলাধীন। ব্রিটিশ সরকারের প্রতিনিধিরা বৃহত্তর ময়মনসিংহের জমিদারদের সঙ্গে বছরে একবার ময়মনসিংহ শহরে বৈঠক করতেন। হেমচন্দ্র হাতিতে চড়ে ময়মনসিংহ যেতেন। মধুপুর জঙ্গল ছিল তস্করদের আস্তানা। বাঘের ভয়তো ছিলই। হাতিতে জঙ্গল পাড়ি দেয়ার সময় বাড়তি নিরাপত্তা প্রহরী থাকতো। জমিদারের অস্ত্রাগারে ছিল শতাধিক গাদা বন্দুক। নিরাপত্তার খাতিরে এ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতো। ১৮৯৯ সালে ময়মনসিংহ-জগন্নাথগঞ্জ রেলপথ চালু হলে হেমচন্দ্র ও  তার উত্তরাধিকারিরা ট্রেনে ময়মনসিংহ ও কোলকাতা যেতেন। বলা অনাবশ্যক যে, হেমচন্দ্রের উত্তরসূরিরা ৪৭ এ দেশভাগের আগে লোকচক্ষুর অন্তরালে নৌকাযোগে হেমনগর থেকে জগন্নাথগঞ্জঘাট, স্টিমারে সিরাজগঞ্জ এবং সেখান থেকে ট্রেনে যশোর হয়ে কোলকাতা পাড়ি জমান। পেছনে পড়ে থাকে হেমনগরের অর্ধ শতাব্দীর সুখদুঃখের গৌরবময় ইতিহাস। যাইহোক, প্রতিবছর পূণ্যাহের সময় হেমচন্দ্র চৌধুরী মুঘল স¤্রাটদের ‘ঝরোকা দর্শন’ এর আদলে প্রজাদর্শন দিতেন। মূলত এসময়ে বকেয়া খাজনা আদায় হতো। প্রজাদের বড় কোনো সমস্যা বা অভিযোগ পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে গুরুত্বসহকারে আমলে নেয়ার রেওয়াজ ছিল। পূণ্যাহ অনুষ্ঠানে রাজকীয় হাতিতে চড়ে যাওয়ার প্রচলন ছিল। হেমচন্দ্রের মৃত্যূর পর হেরম্ব চৌধুরী জমিদার হন। তিনিও এ প্রথা বহাল রাখেন। ঘোড়ায় টানা বেশকটি টমটম ছিল হেমচন্দ্রের।  অশ্বশালায় ছিল এক ডজন তেজি ঘোড়া। জমিদাররা পালকিতে চড়ে তহশীল কাচারি পরিদর্শনে যেতেন। পালকি ছিল আভিজাত্যের প্রতীক।

Hemnagar Zomidar-Gopalpur-Tangail 23.08.2015 By-K M Mithu (1)

জমিদার বাড়ির উত্তর পাশের উঁচু ভিটায় ছিল বেহারা পল্লী। বিহার থেকে দশবারোটি অবাঙ্গালী পরিবারকে পালকি টানার জন্য হেমনগরে নিয়ে আসা হয়। ওই ভিটায় ছিল থাকার ব্যবস্থা। জমিদাররা দেশত্যাগ করলেও বেহারা পল্লীর বাসিন্দারা এদেশে থেকে যায়। পরবর্তীতে পালকি টানার ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা আশির দশকে বেহারা পল্লীর খাস জমি পত্তনি নিয়ে এসব পরিবারকে ভিটেমাটি উচ্ছেদ করে। ওরা আশ্রয় নেয় পরিত্যক্ত হেমনগর রাজবাড়িতে। ১৯৮১ সালে জমিদার বাড়িতে চালু হয় হেমনগর কলেজ। ওরা আরেক দফা উচ্ছেদ হয়। পুনরায় আশ্রয় নেয় রাজবাড়ির একশ গজ পশ্চিমে খাস জমিতে। বিশ শতাংশের খাস জমিতে  ঠাঁসাঠাসি করে    দারিদ্রের সাথে লড়াই করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে সাতআটটি বেহারা পরিবার। জমিদার বাড়ির দক্ষিনপূর্ব কোনে ছিল চিড়িয়াখানা। হেমনগর জমিদারের জাঁকজমক সচক্ষে দেখেছেন এমন দু-একজন প্রবীণ এখনো বেঁচে আছেন। এদের একজন গনেশ চন্দ্র রক্ষিত। বয়স ১০৩ বছর।  বাড়ি হেমনগর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামে। তিনি হেমনগর জমিদারদের দেশত্যাগ এবং জমিদারি প্রজা উচ্ছেদের আগ পর্যন্ত স্টেটের রাজস্ব বিভাগের কর্মচারি ছিলেন। মাসে ৩৫ টাকা বেতন পেতেন। হেমনগর ছাড়াও মধুপুর উপজেলার (পুকুরিয়া পরগনা) চাড়ালজানি, কালামাঝি, বিপ্রবাড়ি এবং আমবাড়িয়া তহশীল কাচারিতে চাকরি করেছেন। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে হেমনগর রাজবাড়ির নাট্যমালায় জাঁকজমকসহকারে সপ্তাহব্যাপি যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়। পশ্চিম বঙ্গের গণেশ অপেরার বিখ্যাত নায়িকা (পরে চলচিত্র নায়িকা) বসন্ত কুমারি অভিনয় করতে আসেন। দ্বিতল নাট্যশালার উপর তলায় ছিল জমিদার পরিবারের সদস্যদের বসার আসন। আর নিচে চটে বসে হিন্দু ও মুসলিম প্রজারা যাত্রাপালা দেখতেন। জমিদার পরিবারের অনেকেই ছিলেন ক্রিড়া ও নাট্যামোদি। তিনি জমিদার আমলের শেষ পর্যায়ের তিনজন বিখ্যাত ‘নায়েব’ এর নাম এখনো  স§রণ রেখেছেন। এরা হলেন বিজয় কুমার ভট্রাচার্য, রাসবিহারি ধর ও রামমোহন গাঙ্গুলী। হেমচন্দ্র চৌধুরী যমুনা তীরবর্তী সুবর্ণখালি বন্দরে অবস্থিত ইংরেজদের একটি পরিত্যক্ত নীলকুঠি ক্রয় করেন। সে সময় বাংলা থেকে নীলচাষ উঠে গিয়েছিল। বর্তমান সোনামুই গ্রামের অদূরে ছিল সুবর্ণখালি বন্দর। এ নীলকুঠিকে হেমচন্দ্র অফিস হিসাবে ব্যবহার করতেন। কাছেই ছিল জমিদার বাড়ি। কিন্তু যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যায় জমিদার বাড়ি ও নীলকুঠি। হেমচন্দ্র ও তার উত্তরসূরিরা সবাই  ছিলেন প্রজাবৎসল ও সংস্কৃতবান। রাজবাড়ির চিড়িয়াখানায় দশবারোটি হরিণ, ময়ূর ও ময়নাসহ দেশিবিদেশী নানা প্রজাতির বাহারি পাখি ছিল। তিনি গোপালপুর বার্তা’কে হেমনগর জমিদারদের নরবলি দেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।

Hemnagar Zomidar-Gopalpur-Tangail 23.08.2015 By-K M Mithu (2)

ধনসম্পদের লোভে জমিদার কালিচন্দ্র রায় কিভাবে কিশোর পুত্র হেমচন্দ্রকে বলি দেয়ার অপচেষ্টা চালান তা তার নিজ ভাষায় শোনা যাক। তিনি বলেন‘ সুবর্ণখালির রাজবাড়ি যমুনায় বিলীন হওয়ার পর শিমলাপাড়া মৌজায় নতুন রাজবাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করেন হেমচন্দ্রের পিতা কালি চন্দ্র রায়। অবশ্য কালিচন্দ্রের পরলোক গমনের পর হেমচন্দ্রের হাতেই রাজবাড়ির পূর্ণতা পায়। আশপাশে গড়ে উঠে ছোটখাটো নগর। হেমচন্দ্রের নামানুসারে এর নামকরণ হয় হেমনগর। কালিচরন রায় ধনবাড়ি উপজেলার নরিল্লা গ্রামের একটি পুকুর খনন করে অলৌকিকভাবে বিপুল অঙ্কের রুপার টাকা পান। ৩৫টি মহিষের গাড়িতে ওই রুপার টাকা হেমনগরে আনা হয়। কালিচরন কালি সাধন করতেন। রুপার টাকা পাওয়ার ক‘দিন পর রাতে স্বপ্নে আদেশ পান একমাত্র পুত্র হেমচন্দ্রকে বলি দেয়া হলে আরো বিপুল পরিমান ধনসম্পদ লাভ করবেন। কালিচরন ধনসম্পদের লোভে পুত্র হেমচন্দ্রকে বলি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। স্টেটের বিশ্বস্ত নায়েবের সঙ্গে পরামর্শ করেন। এক আমাবস্যার রাতে কালি সাধন শেষে হেমচন্দ্রকে মন্দিরের বেদিতে বলি দেয়ার প্রস্তুতি নেন। কিন্তু কালিচরনের দেহরক্ষি সূর্যবদন সিংহ বলিদানের গোপন কথা জমিদার পত্নী শশীমুখীকে অবহিত করেন। (কেউ কেউ মনে করেন, শশীমুখী হেমচন্দ্রের সৎ মা) এ সংবাদে শশীমুখী মুষড়ে পড়েন। পরে রাতের আধারে সূর্যবদন সিংহের সহযোগিতায় কিশোর হেমচন্দ্রকে নিয়ে রাজবাড়ি থেকে পালিয়ে ধনবাড়ি উপজেলার কয়ড়া গ্রামের জোতদার যাদব চন্দ্রের বাড়িতে আত্মগোপন করেন। এদিকে বলি দেয়ার ক্ষণ সমাগত হলে কালিচরন রাজগৃহে গিয়ে দেখেন হেমচন্দ্র নেই। এদিকে রাত পোহাতে  বাকি নেই। নরবলি না হলে রাজপরিবারের ভয়ানক ক্ষতি হবে। এ আশঙ্কায় কালিচরন রায় দেহরক্ষি পাঠিয়ে রাজবাড়ির অনতিদূরে শিমলাপাড়া গ্রামের গিরিশ চন্দ্র কৈবর্তকে জোর করে উঠিয়ে এনে বলি দেন।’ হিন্দু সমাজে নরবলি প্রথা প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত। কিন্তু হেমচন্দ্রকে নরবলি দেয়ার অপচেষ্টা কতটুকু সত্য বা মিথ্যা যাচাইবাচাই করার ঐতিহাসিক উৎস কারো হাতে নেই। এ ক্ষেত্রে  জনশ্রুতি, উপাখ্যান  আর  গনেশ চন্দ্র রক্ষিতের মত প্রবীণদের ভাষ্যই  আমাকে গ্রহন করতে হয়। গনেশ চন্দ্র রক্ষিত এ ঘটনাটি পিতা গিরিশ চন্দ্র রক্ষিত এবং হেমনগর জমিদারের একাধিক নায়েবের মুখে শুনেছেন। হেমনগর ও এর আশপাশের এলাকায় নরবলির উপাখ্যানটি বেশ প্রচলিত। এ প্রতিবেদক এ ঘটনার সত্যতা ও উৎস অনুসন্ধানে ধনবাড়ি উপজেলার কয়ড়া গ্রাম পরিদর্শন করেন। জোতদার যাদব চন্দ্রের বংশধররা বহু আগেই দেশ ত্যাগ করেছেন। তবে ওই গ্রামের ক‘জন প্রবীণ ওই হিন্দু পরিবারের সদস্যদের নিকট থেকে এ ধরনের গল্প শুনেছেন বলে জানান। গনেশ চন্দ্র রক্ষিত আরো জানান, শশীমুখী পুত্র হেমচন্দ্রকে নিয়ে রাজবাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর জমিদার কালিচরন রায় যারপর নাই ক্ষুব্দ হন। এ সময়ে তিনি ক্ষিরোধা সুন্দরী চৌধুরীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করেন। ক্ষিরোধার ঘরে জন্ম দেয় তিন কণ্যা। এরা হলেন স্বর্ণময়ী দেবী, —– ও বরোদা সুন্দরী দেবী। এদিকে প্রায় দশ বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসনে থেকে শিশু হেমচন্দ্র যৌবনে পা রাখে। যুবরাজের অনুপস্থিতিতে রাজবাড়ি ও জমিদারীর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। মেয়েরা জমিদারি চালাতে পারেনা এ আশঙ্কা থেকেই আত্মীয়স্বজনের চাপে কালিচরন একমাত্র পুত্র হেমচন্দ্রকে রাজবাড়িতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। কিন্তু বাঁধ সাধেন শশীমুখী। শেষ পর্যন্ত দুজনকেই রাজবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে কালিচন্দ্র যতদিন জীবিত ছিলেন শশীমুখীর মুখ দর্শন করেননি।গনেশ রক্ষিত আরো জানান, সাম্প্রদায়িকতার কারণে হেমচন্দ্র সম্পর্কে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তদানিন্তন জমিদার শ্রেণীর প্রচলিত দোষত্রুটি থেকে তারা হয়তো মুক্ত ছিলেননা। কিন্তু একতরফা অপপ্রচার চালিয়ে হেমচন্দ্র ও তার উত্তসূরিদের কৃতিত্বকে খাটো করা হয়েছে। এ মতকে সমর্থন করে হেমনগর শশীমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক জোয়াহের আলী বিএসসি জানান, ‘ব্রিটিশ রাজত্বে যখন পূর্ববাংলা অশিক্ষা ও কুশিক্ষায় ভরপুর ছিল সেই দুর্দিনে হেমচন্দ্র রাজবাড়ির অদূরে ইংলিশ মিডিয়াম একটি হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষার আলো কিভাবে ছড়িয়েছেন সমালোচকদের তা বুঝতে হবে। হেমচন্দ্রের প্রজাদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান। তাদের সন্তানরা এখানে বিনা বেতনে এবং জমিদারের বৃত্তি নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেতেন। এ একটি মাত্র কাজই হেমচন্দ্র ও তার উত্তরসূরিদের সব ঙ্খলণ ও বিচ্যূতিকে ঢেকে দিতে পারে।’ ‘হেমচন্দ্র খুব বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি। এজন্য সারা জীবন কষ্ট বয়ে বেড়াতেন। এ কষ্ট দূর করার জন্য তিনি ১৯০০ সালে হেমনগরে মায়ের নামে শশীমুখী হাইস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন’ বলেন গনেশ রক্ষিত। দেশের সেরা শিক্ষকদের এখানে চাকরি দেন। স্কুলের  যাবতীয় ব্যয়ভার নিজে বহন করতেন। এখানে ইংরেজি মাধ্যমেও পড়ালেখার সুযোগ ছিল। তিনি পিংনা হাইস্কুল, সূতিভিএম হাইস্কুল এবং আনন্দমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠায় জমি ও টাকা দান করেন। এভাবে প্রজাদের মধ্যে শিক্ষার আলো জালিয়ে তিনি মনের কোনে লুকিয়ে রাখা দুঃখ ঘুচানোর চেষ্টা করেন। উল্লেখ্য ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত ময়মনসিংহ ডিস্ট্রিক গেজিটিয়ারে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, ১৯২৩ সালে টাঙ্গাইল মহকুমায় সবচেয়ে বেশি ইংরেজি জানা লোকের সংখ্যা (টাঙ্গাইল শহর বাদে) ছিল গোপালপুর থানায়। ওই সময়ে এ থানায় ইংরেজি জানা লোকের সংখ্যা ছিল ৬৯৮ জন। হেমনগর প্রাইমারি ও হাইস্কুল স্থাপনের ফলে হেমনগরের আশপাশের কাহেতা, নারুচি, শাখারিয়া, অর্জুনা, শিমলাপাড়া, নলিন, ভোলারপাড়া ও বেলুয়া  গ্রাম গোপালপুর উপজেলায়  শিক্ষাদীক্ষায় প্রথম জনপদ হিসাবে খ্যাতি লাভ করে। এখনো এসব গ্রামে বহু মুসলিম বনেদী পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।

 

প্রবন্ধকার:

জয়নাল আবেদীন, দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র সংবাদদাতা, গোপালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এবং মধুপুর কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!