::: মো. আশরাফুল আলম :::
যেকোনো কাজ করার পূর্বে সে কাজের জন্য আগে থেকেই ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। নতুবা সে কাজটি যথোপযুক্ত হয় না। ঠিক তেমনি ভাবে রমজানের জন্যও প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। যদি রমজানের পূর্বে প্রস্তুতি গ্রহণ করা না হয়, তাহলে পরিপূর্ণভাবে রমজানের হক্ব আদায় করা সম্ভব হয়ে উঠে না।
রমজান আগমনের পূর্বেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য। কোনো কাজের জন্য ভালো প্রস্তুতি মানেই সে কাজটি অর্ধেক পূর্ণতা পেয়ে গেল। আর মাত্র একমাস পরই রামাদানুল মোবারক মুমিনের দুয়ারে এসে কড়া নাড়বে। একজন সচেতন মুমিন হিসেবে কর্তব্য হলো, রমজানের আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করা।
রজব ও শা’বানে বরকত এবং রমজানে ইবাদতের সুযোগ হাসিলের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (সা.) রজব ও শা’বান মাস ব্যাপী এ দোয়া বেশি বেশি পড়তেন–
“আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফী রজাবা ওয়া শা’বান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।”
অর্থ: হে আল্লাহ! রজব ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত বৃদ্ধি করে দিন।
হাদিসের বর্ণনায় পাওয়া যায়, শা’বান মাসে রাসূল (সা.) রোজা রাখতেন। “হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো শা’বান মাসের চেয়ে বেশী অন্য কোনো মাসে সাওম পালন করতেন না। তিনি পূর্ণ শা’বান মাস অথবা তার অধিকাংশ দিন সাওম পালন করতেন।
আল্লাহ তায়ালা পুরো রমজান মাস ব্যাপী রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা পালন করা বান্দার জন্য অবশ্য কর্তব্য। রমজানের রোজা সহজীকরণে রজব এবং শা’বান মাসে নফল রোজার মাধ্যমে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা একজন আদর্শ মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
রমজান আগমনের পূর্বে অতীব গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, রমজানের ফজিলত ও গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। রোজা সম্পর্কিত মাসআলা-মাসায়েল ভালোভাবে জেনে নেওয়া। যেমন– রোজা নষ্ট ও মাকরুহ হওয়ার কারণ সমূহ এবং যেসব অবস্থায় রোজা কাজা করা যায়, সেসব বিষয়ে মাসআলা-মাসায়েল ভালোভাবে জেনে নেওয়া খুবই জরুরী। তবেই রোজার হক্ব সঠিকভাবে আদায় করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
লেখক পরিচিতি :
মো. আশরাফুল আলম
শিক্ষার্থী : তা‘মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী। অনার্স ২য় বর্ষ। আল-কোরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।