আজ || রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন       গোপালপুরে বিনামূল্যে সহস্রাধিক শীতবস্ত্র বিতরণ    
 


খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান

গোপালপুর বার্তা রিপোর্ট :
বিএনপির ত্যাগি নেতা, ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং গোপালপুর উপজেলার আলমনগর ইউনিয়নের বাগুয়াটা গ্রামের সভ্রান্ত পরিবারের সন্তান খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি সামনের দিনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান। বিএনপির এ সজ্জন নেতা স্থানীয় সরকারের আওতাধীন এ গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হলে জনগণ সার্বিক ক্ষেত্রে সেবা পাবেন।

খোরশেদুজ্জামান মন্টুর পিতার নাম আব্দুল ওয়াহেদ চাঁন মিয়া। মাতা মাজেদা খাতুন। পাঁচ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। পিতা চাঁন মিয়া পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে একাধিকবার সূতী ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট বা চেয়ারম্যান ছিলেন। বলা অনাবশ্যক, ১৯৭৪ সালে গোপালপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালে সূতী ইউনিয়ন পরিষদের বড় অংশ পৌরসভার সাথে জুড়ে দেয়া হয়। আর বাকি অংশ নিয়ে বর্তমান আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়।

যাই হোক, খোরশেদুজ্জামান মন্টুর পিতা চাঁন মিয়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তখন টাঙ্গাইল ছিল ময়মনসিংহ জেলার অধীনে একটি মহকুমা। চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া ছিলেন একজন পাট ব্যবসায়ী এবং প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার।

খোরশেদুজ্জামান মন্টু সূতী ভিএম পাইলট মডেল হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং পরে গোপালপুর কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন। পারিবারিক স্বচ্ছলতা থাকায় জীবনে চাকরিবাকরি নয়, ব্যবসাবাণিজ্যের প্রতিই প্রচন্ড ঝোঁক ছিল। এজন্য ব্যবসাকেই জীবকালম্বন হিসাবে বেছে নেন। রাজনীতি ছিল বাড়তি সখ। এ জন্য ৯১ সালে বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপমন্ত্রী এডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুর হাত ধরেই রাজনীতিতে আগমন। সেই থেকে আব্দুস সালাম পিন্টুর নের্তৃত্ব এবং বিএনপির রাজনীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে আসছেন তিনি।

তিনি গোপালপুর থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। বিগত সাড়ে পনেরো বছর আওয়ামী স্বৈরাচারি শাসনামলে আন্দোলন, সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন। এ জন্য মিথ্যা ও গায়েবী মামলার আসামী হয়ে বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীর ন্যায় হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ২০০৮ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সমর্থন পুষ্ট প্রার্থী হিসাবে সিগনাল পান। কিন্তু ভোট চুরির আশঙ্কায় তিনি প্রতিদ্বন্ধিতা থেকে বিরত থাকেন। কর্মজীবনে তিনি টানা ২৮ বছর ঢাকার অভিজাত রমনা চায়নীজ রেস্তোরার পরিচালক ছিলেন। গত রিজমে বিএনপি করার অপরাধে তাকে সেই ব্যবসা থেকে জোর করে বঞ্চিত করা হয়।

তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর আইস এন্ড কোল্ড ষ্টোরেজের পরিচালক। তিনি গোপালপুর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান ছিলেন। সূতী ভিএম পাইলট মডেল হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির দুইবার সফল সভাপতি ছিলেন। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ঢাকাস্থ গোপালপুর উপজেলা কল্যাণ সমিতির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। একই সাথে ঢাকাস্থ টাঙ্গাইল জেলা সমিতির দুই দুই বার সহসভাপতি হন। তিনি ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে কাজ করছেন। তিনি বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতষ্ঠিানের সাথে জড়িত।

খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ কিছু প্রত্যাশা করেন। আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামীম হোসেন জানান, খোরশেদুজ্জামান মন্টু সভ্রান্ত পরিবারের মানুষ। উনার মরহুম পিতা এলাকায় জনদরদী মানুষ ছিলেন। তিনি পিতার অনেক গুণাবলী হৃদয়ে ধারন করেন। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন। সেখানে শিক্ষক নিয়োগে তিনি টাকা নয়, যোগ্যতাকেই মূল্যায়ন করেছেন। সৎ এবং সজ্জন মানুষ হিসাবে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে। এলাকায় ক্রীড়া আয়োজনে তিনি ভূমিকা রাখেন। ক্লীন ইমেজের মন্টু সাহেব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হলে এলাকায় সুষম উন্নয়ন হবে। এলাকাবাসি সামনের দিনে তাকেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান।

আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা জানান, এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে তার বরাবরই যোগাযোগ থাকে। অনেকের সুখ দুঃখের খবর রাখেন তিনি। বিপদেআপদে পাশে দাড়ান। মানুষের আস্থা রয়েছে তার প্রতি। তিনি বাড়ি এলে বহু গরীব ও সাধারণ মানুষ ভিড় জমায়। তাদেরকে সাধ্যমতো সহযোগিতা করেন। কারো সাথে অভদ্র বা খারাপ ব্যবহার করেছেন এমনটা কেউই বলতে পারবেন না। এমন একজন সহজ সরল মানুষকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে পেলে মানুষ খুশি হবেন।

নবগ্রামের কামরুল ইসলাম জানান, এই সজ্জন এবং প্রবীণ মানুষটি এলাকার সবার মুরুব্বী হিসাবে খুবই সম্মানিত। দলের নেতাকর্মীদের প্রতি তিনি খুবই সহানভূতিশীল। তবে বিপদে পড়ে যে কেউ কাছে গেলে তাকে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কখনো দেখেননা। বিনয়ী এবং সজ্জন হওয়ার গুণটি তিনি পারিবারিকভাবে পেয়েছেন। এলাকায় তিনি খুবই জনপ্রিয়। তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হলে মানুষ উন্নয়ন পাবে। সুবিচার পাবেন। বিপদেআপদে সব সময় পাশে পাবেন।

দড়িশয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং ঢাকায় জব করেন আব্দুল মালেক। তিনি খোরশেদুজ্জামান মন্টুর উচ্চসিত প্রশংসা করে জানান, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সব গুণাবলী ও যোগ্যতা উনার রয়েছে।

এদিকে গত মঙ্গলবার তিনি গোপালপুর প্রেসক্লাব পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি জানান, দল তাকে গ্রিন সিগনাল দিলে তিনি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আশা করছেন। তিনি জানান, গোপালপুর অনেক পুরনো পৌরসভা। কিন্তু এর উন্নয়ন চোখে পড়েনা। এমনকি পুরো  গোপালপুর উপজেলাই অনেকটা অবহেলিত। বিগত দেড় যুগ ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচারি আওয়ামীলীগের নেতারা গোপালপুরের জনগনের জন্য কিছুই করেননি। শুধু নিজের পেট ভরিয়েছেন। উন্নয়নের নামে নিজের আখের গুছিয়েছেন। তারা বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত গায়েবী ও বানোয়াট মামলা দিয়ে জেল জুলুম খাটিয়েছেন।  তাদের নির্মম অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা এমন কি তিনি নিজেও অনেক দিন বাড়ি ঘরে আসতে পারেননি। লীগের শাসনামলে গোপালপুরে ব্যাপক হারে মাদক সেবন ও ব্যবসার বিস্তার ঘটে। লীগের অনেক নেতা কর্মী প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা করতো। প্রশাসন সেটি জেনেও না জানার ভান করতো। মাদক গোপালপুরের একটি প্রজন্মকে একদম ধ্বংস করে দিয়েছে। যেকোন মূল্যে মাদকের ভয়াবহ বিস্তারকে ঠেকাতে হবে। সামনের দিনে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কারা নির্যাতিত নেতা এবং সকলের অভিভাবক এভভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টুর নেতৃত্বে গোপালপুরকে মাদক মুক্ত উপজেলায় পরিণত করা হবে। তিনি আশা করেন, সদ্য কারামুক্ত নেতা আবুস সালাম পিন্টু সাহেব শারীরীকভাবে সুস্থ হওয়ার পর গোপালপুরের লাখো মানুষের মাঝে তিনি হাজির হবেন। সরাসরি তাদের ভালোবাসায় তিনি সিক্ত হবেন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!