(প্রথম পর্ব)
?:: অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ::?
প্রচন্ড জ্বরে কখন জ্ঞান হারালাম জানিনা!
কতোকক্ষণ পর নিজের অস্তিত্ব টের পেলাম। কিন্তু একি! কোথায় আমি! এতো দেখি এক মায়াবী কৃষ্ণগহ্বর।
বহুর্বুজ সেই গহ্বরের এক পাশে আতসী কাঁচের ক্ষুদ্রকায় জানালা। তাদিয়ে ভেতরে আবছা আলোর বিচ্ছুরণ। আতশী কাঁচের ফাঁক গলিয়ে গভীর মনোসংযোগে যতদূর সম্ভব দৃষ্টি প্রক্ষেপণ করলাম। শুধুই ধূসর প্রান্তর।
অচেনা-অজানা লোমহর্ষক এক ভয়ার্ত অলৌকিক প্রতিবেশ চতুর্দিকে।
কিন্তু দুশ্চিন্তার বিষয়, এ ভৌতলোকে দেহের অস্তিত্ব টের পাচ্ছিলাম না! অদ্ভূতভাবে দেহবিহীন সত্বায় শুধু মনের অস্তিত্ব উপলদ্ধি হচ্ছিলো। যেন দেহটা নাই হয়ে গেছে। শুধু অামিত্বে ভর করে বিন্দুর মতো ভৌতলোকে অামি ভাসমান। মর্তলোক নয়, অনন্তলোকের বাতাবরণের এক মায়াপুরীতে এখন আমার অবস্থান।
ভাবতে ভাবতে শ্রবণশক্তি জাগরুক হলো। কারো যন্ত্রনাদায়ক তীব্র চিৎকার ভেসে এলো। সে চিৎকার ক্রমান্বয়ে মহা চিৎকারে পরিণত হলো। উপলদ্ধি করলাম- ভারীক্কি চালে আসমান থেকে জমিনে মহাঘাতের বিকট শব্দ। বিশাল হামান দিস্তায় আকাশ-পাতাল ভেদ করে কাউকে পেষানো হচ্ছে। যেমনটি গুর্জের আঘাতে হাশরের ময়দানে পেষানো হবে মহাপাপী ইবলিশকে।
ভীতিকর প্রচন্ড আওয়াজ কানে বিঁধতে লাগলো। যেন ভূলোক-দ্যুলোক ভূকম্পে কাঁপছিল, দুলছিল।
দুনিয়ায় থাকতে শুনেছিলাম- মরণের পর কবর জগতে পাপী বান্দাদের দেয়া হবে, গুর্জাঘাতের ভয়ানক আজাব। কঠিন সওয়াল-জবাব করবেন আল্লাহর পবিত্র ফেরেস্তেরা। আর নির্দিষ্ট উত্তর না মেললেই শুরু হবে, গুর্জের গজব। চলবে কেয়ামত তক। এতে পাপিষ্ঠের দেহ ছেঁচে মাটিতে লীন হবে। আবার অলৌকিকভাবে পূর্বারূপ পাবে। পুনরায় পূর্ববৎ গুর্জ চলবে। বারংবার কঠিন শাস্তির পুনরাবির্ভাব ঘটবে।
মর্মান্তিক চিৎকার আর গুর্জরের ভয়াবহ শব্দে যখন চতুর্দিক মথে উঠলো, তখন এক অলৌকিক আলো কৃষ্ণগূহায় জ্বলে উঠলো! বিকিরণহীন এমন অদ্ভূত আলো মর্তলোকে কথাপি নজরে পড়েনি।
অতঃপর আমি অলৌকিক যাদুবলে শোয়া থেকে বসায় নীত হলাম।
দেখলাম দীর্ঘদেহী, নিস্পাপ, অসীম দেহাবয়বের এক শ্বেতশুভ্র ঐশ্বরিক কায়া। পৃথিবীর কোন কায়ার সাথেই যার তুলনা চলেনা। সেই কায়া তির্যক দৃষ্টিতে আমাকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলেন। এরপর বজ্রাঘাতের মতো সশব্দে, অচিন ভাষায় কি সব যেন জিজ্ঞেস করতে। থাকলেন।
আমি তার ভাষা বা প্রশ্ন অনুধাবনে ব্যর্থ হলাম। অামার অপারগতা বুঝতে পেরে তিনি এবার গম্ভীরভাবে তাকালেন। ভয়ে আমার ভেতর শুকিয়ে গেলো। মনে মনে আল্লাহকে ডাকতে লাগলাম।
এবার স্বর্গীয় ও অতীন্দ্রিয় দূত সুন্দর ও সাবলীল বাংলায় বললেন-
– “হে আদম সন্তান কোথা থেকে তোমার আগমন ঘটেছে?”
– “হে অমরাত্মা, আমি একজন পাপী বান্দা। বাংলাদেশ থেকে আমার আগমন ঘটেছে।”
– “বাংলাদেশ মানে বাঙ্গালা মুলুক?”
– “জ্বী পবিত্র আত্মা।”
– “তুমি কি জানো এখন কোথায় তোমার অবস্থান?”
– “কম্পিতস্বরে বললাম, হে পবিত্র আত্মা, আমি কোথায় এসেছি সঠিক জানিনা। তবে এটি যে মর্তলোক নয়, অতিলৌকিক এক জগৎ তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছি।”
– “দেখো এটি যেমন মর্তলোক নয়, তেমনি পুরোপুরি পরকালও নয়। এটি পরলোকের অনন্ত যাত্রার লাস্ট স্টেশন। বলতে পারো, ইহলোক ও পরলোকের মাঝামাঝি অবস্থান। এখানে যেমন ইহলোকের স্মৃতিচারণ করা যায়, তেমনি পরলোকের কঠিন অাজাব প্রত্যক্ষ হয়।
তা এ অলৌকিক ভুবনে তুমি কিভাবে প্রবেশ করেছ, তার স্মরণ আছে কি?”
– “হে স্বর্গীয় আত্মা, এখানে আসার আগে আমি প্রচন্ড জ্বর ও সর্দিকাশিতে আক্রান্ত ছিলাম। সারা পৃথিবীর মতো বাঙ্গালা মুলুকেও এখন করোনার যুগ। সেই করোনায় গরীবলোক, বড়লোক, অর্থশালী, বিত্তশালী, প্রতাপশালীরা অনবরত কুপোকাত হচ্ছেন।”
গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) জ্বর আর কফাক্রান্ত হয়ে আমার শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে। অজ্ঞান হয়ে যাই মহামারী করোনার ভয়ে। কিন্তু অজ্ঞানবস্থায় মহামান্য আজরাঈলের সাক্ষাৎ পাইনি। জ্ঞান ফিরলে অলৌলিক জগতের কৃষ্ণগহ্বরে নিজেকে আবিস্কার করলাম।”
– “তার মানে তুমি কি করোনায় দেহত্যাগের পর এ অনন্তলোকে আসোনি?”
– “হে আল্লাহর পবিত্র দূত, মরণ যেভাবে লেখা থাকে, সেভাবেই পরলোকে পাড়ি দিতে হয়। অামি পরকালে পাড়ি জমানোর কারণ স্মরণ করতে অক্ষম। তবে বাঙ্গালা মুলুকে করোনার সঠিক চিকিৎসা হয় না বলে, প্রজাদের বিভিড এন্তার অভিযোগ। অহরহ করোনার নকল রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট সরবরাহ হয়। নেগেটিভকে পজিটিভ। আর পজিটিভকে করা হয় নেগেটিভ। তাই পরীক্ষা-নিরিক্ষা করাতে আমার আগ্রহ কম ছিল।
হে স্বর্গীয় দূত, অাসলে অাজ থেকে ৬৫ বছর অাগে এমন এক অনন্তলোক থেকে আমিত্বকে সম্বল করে মর্তলোকে অামার গমন হয়েছিলো। এতো বছর পর আবার মর্তলোক থেকে এ অনন্তলোকে ফিরে এসেছি। কিন্তু যাওয়া-আসার এই লক্ষ কোটি দূরতিক্রমের কোনো স্মৃতিই অামার স্মরণে নেই।”
কথপোকথন কালে আরেক স্বর্গীয় দূতের আগমন ঘটলো। তিনি আমাকে দেখিয়ে প্রথম দূতকে জিজ্ঞেস করলেন-
– “বাঙ্গালা মুলুকের এ আদমের আমলনামা বা খাতা কি চেক হয়েছে?”
দ্বিতীয়জন উত্তর দিলেন-
– ”না। মাত্র পরিচয় পর্ব শেষ হয়েছে। চলুন এবার আমলনামা চেক করা যাক।”
মিনিট পাঁচেক তাঁরা দু’জনে নিজেদের ভাষা এবং ভঙ্গিতে পরস্পর কথা সেরে নিলেন। তারপর অামার কপালের দিকে বার কয়েক তাকিয়ে, পৃথিবীকালে যাপিত পয়ষট্রি বছরের ক্রিয়াকর্মাদি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করলেন।
এরপর প্রথম দূত অামার দিকে নিস্পল তাকিয়ে বললেন,
– ”হে পাপী বান্দা, তোমার অামলনামায় তো দেখছি ভালোর চেয়ে মন্দ, সত্যের চেয়ে মিথ্যা এবং পরোপকার থেকে ধান্ধাবাজির দৃষ্টান্তই বেশি। একমাত্র বালামুছিবৎ ছাড়া পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালাকে, তোমার স্মরণ করার পরিমাণ সংখ্যাও কম। তুমি এতো পাপ নিয়ে কিভাবে কবর দেশে গমন করবে। সেখানেতো তোমার জন্য অপেক্ষা করছে নানারকম ভয়ানক অাজাব।”
আমি পবিত্র দূতদ্বয়ের এ অাগাম বাণীতে ভীত ও বিচলিত হলাম। ঘন ঘন প্রভূর নাম স্মরণ করতে থাকলাম।
দ্বিতীয় দূত ধমকের সুরে বললেন,
– “নির্বোধ অাদম তুমি এমন বিড় বিড় করে কি বলছো।”
– “হে পবিত্র দূত, মর্তলোকে লালসায় প্রলুদ্ধ হয়ে, কামনায় বিদ্ধ হয়ে যতো পাপ করেছি, আমি ততোবারই প্রভূর নিকট কায়মনে তওবা করেছি। কিন্তু অাপনারা যেসব পাপের কথা বলছেন, এর অধিকাংশই গণপাপ। এ গণপাপের জন্যতো অামি একা দায়ী নই। বাঙ্গালা মুলুকের সমস্ত মানুষ, সমগ্র জাতি এর জন্য কমবেশি দায়ী।”
– “গণপাপ? দূতদ্বয় সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন। সেই চিৎকার নিনাদে অাকাশবাতাস প্রকম্পিত হলো। অামি ভীত হয়ে কাঁপতে থাকলাম। একপর্যায়ে তারা শান্ত হলেন। স্বাভাবিক স্বরে অামাকে উদ্দেশ্য করে বললেন- “হে অাদম সন্তান গণপাপ মানে কি, কেমন পাপ সেটি? কোটি কোটি বছর ধরে অাল্লাহর হুকুমে এখানে হুকুমৎ পালন করছি, কিন্তু এমন পাপের কথা কস্মিনকালেও শুনিনি।”
তারা দুজন বিস্মিত হয়ে পরস্পর মুখ চাওয়াচাওয়ি শুরু করলেন। পাপ-পুণ্যের খাতার হিসাব পুনঃচেক শুরু হলো। অামলনামা বা খাতার কলামে চিহ্ণিত পাপের শ্রেণিকরণ খতানো অারম্ভ হলো।
এ সুযোগে অামি গণপাপের ব্যাখা দেয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলাম। তাদের একজন সায় দিলেন। আর অামি বলতে থাকলাম-
– “হে অাল্লাহর পবিত্র দূত, অামি ইহকালে পৃথিবীর যে দেশটাতে জন্মেছিলাম, সেই বাঙ্গালা মুলুকে অারব থেকে ইসলাম এসেছিল সাতশ বছর পর। অামাদের পূর্বপুরুষ সবাই ছিলেন হিন্দু, নয়তো বৌদ্ধ। অার নৃ-গোষ্ঠিতে সবাই শঙ্করজাতের।
নৃ-বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, শঙ্করজাতি গোষ্ঠির মধ্যে নাকি দৃঢ়তা ও মৌলিকত্বের সঙ্কট থাকে। তাদের মননে, বিশ্বাসে, চিন্তায়, যাগযজ্ঞে, কর্মে, প্রজ্ঞায় পরস্পরবিরোধী চেতনা বিদ্যমান। এজন্য বাঙ্গালরা অনেকখানি চপলমতি, কলহপ্রিয় ও প্রতিহিংসা পরায়ণ।
বাঙ্গালরা যুক্তির চেয়ে অাবেগ, বস্তুনিষ্ঠ ব্যাখ্যার চেয়ে হুজুগী বিশ্লেষণ এবং শ্লীলের চেয়ে অশ্লীল বাক্যবানে ক্রোধ উপশমে পারদর্শী।
হে অলৌকিক জগতের পবিত্র অাত্মাদ্বয়, যদি অামার কথা অাপনাদের বিশ্বাস নাই হয়, তাহলে বাঙ্গালদের ফেসবুকে ইন করুন। যুক্তিসঙ্গতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিষয়ক স্ট্যাটাসের কমেন্টস বক্স চেক করুন। দেখবেন, সেখানে একে অপরের মাবোন তুলে অাদি রসাত্মক গালির তুফানে তৃপ্তির হাসি হাসছেন।”
কিছুটা থেমে আমি অাবারও বলা শুরু করলাম-
– “হে পবিত্র অাত্মাদ্বয়, পন্ডিতজনরা বলে গেছেন, বাঙ্গালা মুলুক জোঁয়ার ভাটার জনপদ বিধায়, বাঙ্গালের অাবেগ-অনুভূতির পারদ সকাল-বিকাল উঠানামা করে।
তারা অাজ যাকে নেতা মানেন, কাল তার গলায় ছুরি চালান। সামনে প্রশংসা অার পেছনে চুগলখুরি পছন্দ করেন।
খোদার জমিনে মিথ্যে বলার যতো ব্যাকরণ, অলঙ্করণ, ডেকোরেশন রয়েছে, তার সকল অপকৌশল, অজুহাত ও পারঙ্গমতা বাঙ্গালীর নখ দর্পনে।
বাঙ্গালদের কেউ কেউ ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করেন, নইলে ধর্মের অপব্যাখ্যা দেন, অথবা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করেন। ধর্মের মধ্যেও যে উদার মানবিকতাবোধ রয়েছে, যুক্তির সারবত্তায় যে ধর্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা চলে এবং সে ব্যাখ্যা যে বিশ্বাসের সমগোত্রীয় ও অকল্পনীয় নয়, দর্শন তত্বের সেই যুগপৎ সূত্রের ধারের কাছেও বাঙ্গালরা যেতে রাজি নন।
তাই পৃথিবীকালে সংসার ধর্ম পালনে, সামগ্রিক বিশ্বাস ও চেতনায় বাঙ্গালদের মধ্যে অনেক পরস্পর বিরোধী মত ও অাদর্শ দৃশ্যমান। অার এটি মূলতঃ প্রভাবিত হয় তাদের জাতিগত, নৃ-গত, গোষ্ঠিগত ও বংশগতির অাচার-সর্বস্বতা দ্বারা।”
মনে হলো অামার কথায় দূতদ্বয় বিরক্ত হচ্ছেন। বললেন-
– “হে বাঙ্গালা মুলুকের বনি অাদম, তুমি এতো চটপটে, ঝটপটে বাক্যবানের চৌকষতা কিভাবে অর্জন করেছিলে?
– “হে অাল্লাহর প্রতিনিধি, যদি অভয় দেন তো বলি? সম্মতি মিললে অাবার বলতে থাকলাম-
– “হে স্বর্গীয় পুরুষ, পৃথিবীকালের যাপিত জীবনে অামি একজন শিক্ষক ও সংবাদকর্মী ছিলাম। তাই রাজনীতিবিদদের সাথে অামার হরদম উঠাবসা হতো।
তবে বাঙ্গালা মুলুকের রাজনীতিবিদরা যা বলতেন, তা করতেন না। অার যা করতেন, তা বলতেন না।
কোনো কাজের অাগে তাদের প্রতিশ্রুতিশীল ভাষণ শুনে বাঙ্গালরা খুশিতে অাটখানা হতেন। অার সময় ও কাজ ফুরোলে শুধু মানুষ কেন, পশুপাখিরা পর্যন্ত প্রাপ্তির দুঃখে ও মর্মপীড়ায় চোখের জল ফেলতেন।
অাচ্ছা যাদের কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক তাদেরকে ধর্মীয় ব্যাখ্যায় যেন কি বলা হয়? সাহস করে তাদের প্রতি প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলাম।
– “গম্ভীর কন্ঠে বললেন, তারা মোনাফেক। জাঁদরেল মোনাফেক। কবর দেশ ও রোজ হাশরে তাদের কঠিন সাজা হবে।”
– “হে গায়েবী দূত অনুমতি দিলে অামি অারো কিছু অাবেগী কথা বলতাম।”
– “হে অাদম সন্তান, পরলোকে অাবেগ বলে কিছু নেই। মর্তলোক থেকে বিদায়কালে অাদম সন্তানরা সব অাবেগ দেহের সাথেই রেখে অাসেন। কাজেই বস্তনিষ্ঠ যা বলার সফাসাফ বলে ফেলো।”
– “হে নূরের পয়দা, গণ পাপের কথা বলতে গেলে অামাকে কিছু ইতিহাস টানতে হয়। বাঙ্গালা মুলুকের মানুষ হাজার বছর পর এখন নিজেরা নিজেদের শাসন করছে। রক্তাত্ব যুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাঙ্গাল মুলুকে এক স্বাধীন রাষ্ট্রও প্রতিষ্ঠা করেছে। যার নেতৃত্বে সেই রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা, তাকে তারা সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাও করেছে।” (…চলবে…)
লেখক পরিচিত :
দৈনিক ইত্তেফাকের সিনিয়র করোসপন্ডেট। অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক। সভাপতি, গোপালপুর প্রেসক্লাব। সম্পাদক, গোপালপুর বার্তা।