শিক্ষা একটি দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি। শিক্ষা মানুষের মনকে কুসংস্কার ও অন্ধকার মুক্ত করে গড়ে তোলে বিনয়ী, ভদ্র ও আলোকিত মানুষে। জাগ্রত করে বিবেকবোধ ও দেশপ্রেম, সহায়তা করে মানবিক গুণে গুণান্বিত মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে। তাই শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড বলা হয়। দেশ থেকে নিরক্ষরতার অভিশাপ দূর করতে কাজ করছে সরকার। সরকারের বিভিন্ন সেবা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিয়ে সুনাম অর্জন করেছের কক্সবাজারের পেকুয়ার ইউএনও সাঈকা সাহাদাত। শিক্ষা বিস্তারে রাখছেন বিশেষ অবদান। ফলে শিক্ষা অনুরাগী ইউএনও হিসাবে তিনি পেকুয়া বাসির কাছে পরিচিত।
তিনি নিজেও এক সময় শিক্ষক ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে ঢাকার দুইটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। পরবর্তীতে ৩০ তম বিসিএস এ শিক্ষা ক্যাডারে যোগদান করার কয়েক মাস পর ৩১ তম বিসিএস এ প্রশাসন ক্যাডারে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। ফলে শিক্ষার প্রতি তাঁর রয়েছে বিশেষ আগ্রহ। সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছেন তিনি। তারই অংশ হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে গৃহীত বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যাতীত) শীর্ষক কর্মসূচীর আওতায় পেকুয়ার উপজেলাধীন বারবাকিয়া ইউনিয়নে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি ও অটোরিকশা বিতরণ করা করেন। পেকুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই প্রকল্পের আওতায় প্রাক-প্রাথমিক হতে উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা বৃত্তি বিতরণ করা হয়। গত মাসে উপজেলা চেয়ারম্যানের উপস্থিতে তিনি ১৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র বিতরণ করেন। যার মাধ্যমে শিক্ষার অগ্রগতি সাধিত হবে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাবে।
নিরক্ষরতা দূর করতে তিনি জন সচেতনতা তৈরি করছেন, বৃত্তি ও বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ ইত্যাদি তদারকির মাধ্যমে শিক্ষার সুফল পেকুয়ার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি এই গুরুত্ব অনুধাবন করেই কাজ করে যাচ্ছেন শিক্ষা বিস্তারে। তাঁর মূল লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে পেকুয়ার শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা বিস্তার এবং শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া শূন্যের কোঠায় নামানো।
এছাড়াও করোনা দুর্যোগে মোকাবিলায় তিনি রাত দিন কাজ করছেন। বিনয়ী, কর্মঠ, জনদরদী, সৎ ও নিষ্ঠাবান অফিসার হিসাবে তিনি পেকুয়ার মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।
লেখক :
মো. শাহিন রেজা, শিক্ষক।