আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জনের মধ্যে ডাক্তার রয়েছেন ৩ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। নামে ৫০ শয্যা। বাস্তবে কোনো সিট নেই এ হাসপাতালে। তেরো মাস আগে ৫০ শয্যার বেড আসলেও তা ইনডোরে স্থাপন করা হয়নি। রয়েছে বাক্সবন্দি। নেই কোন প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী। ইনডোর সেবা একদম চালু করা হয়নি। বহির্বিভাগের রোগীদের শুধুমাত্র ব্যবস্থাপত্র দেয়ার মধ্যেই হাসপাতালের কাজ সীমাবদ্ধ। ফলে উপজেলার সোয়া দুই লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২০০৬ সালে মধুপুর উপজেলাকে ভেঙ্গে ধনবাড়ী উপজেলা গঠন করা হয়। ২০১২ সালের ২৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০ শয্যা এ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা সেবার কাজ শুরু হয়।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, নিচ তলার বারান্দায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড়। পাশের দুটি কক্ষে মাত্র দুজন চিকিৎসক বহির্বিভাগে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন। তারা জানান, প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ রোগীর ব্যবস্থ্যপত্র দেয়া হয়। ইনডোর সেবা না থাকায় ১০/১২জন রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়।

হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আসিফ জানান, ইনডোর চালুর জন্য জনবল নেই। ২১ জন মেডিক্যাল অফিসারের মধ্যে আছেন মাত্র ৩ জন। অন্যান্য স্টাফ তো নেইই। চাহিদা মত ঔষধ ও আনুসঙ্গিক সরঞ্জাম নেই। এক্স-রে, ইসিজিসহ প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই।

ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সাজ্জাত হোসেন জানান, হাসপাতালের সার্বিক চিত্র খুবই নাজুক। স্টোর কীপার নুরুল ইসলাম জানান, ওটি চার্জার ও এ্যাম্বুলেন্স নেই। সরবরাহ করা ৫১ টি বেড (রোগীর খাট) বাক্সবন্দি। জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে চালু করা যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডা. আশরাফ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কখন পূর্নাঙ্গ হাসপাতাল হিসাবে এটি চালু হবে তা উর্ধতন কর্তৃপক্ষ জানেন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!