::: মোঃ শামছুল আলম চৌধুরী :::
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার একটি নিভৃত পল্লী মির্জাপুরের মাঝপাড়া গ্রাম। পাশেই ঝিনাই নদী অদূরেই রয়েছে বৈরাণ। শতবছর পূর্বে এই গ্রাম থেকে এঁকে-বেঁকে চলা নদী পথই ছিল যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এখান থেকে ৬/৭ ঘন্টার পথ পেরিয়ে যমুনা নদীর প্রাচীন নৌবন্দর পানিবাড়ী ঘাট। ঘাট থেকে প্রায় ২৬ ঘন্টা পথ পেরিয়ে স্টিমারে গোয়ালন্দ হয়ে কলিকাতা যেতে হতো। আবার প্রায় দুই দিনের পায়ে হাটা পথে মাঝপাড়া থেকে ময়মনসিংহে যাওয়া। ৫/৬ ঘন্টা জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে গিয়ে কয়লার ইঞ্জিনের ট্রেনে ময়মনসিংহ অথবা ঢাকায় যেতে হতো। আবার ঝিনাই নদী দিয়ে দীর্ঘ সময়ে বাউসি থেকে ট্টেনে চড়তে হতো। গ্রাম থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটারে পথ গোপালপুর উপজেলা সদরের দূরত্ব হলেও এটুকু পথ যেতে সময় লেগে যেত প্রায় তিন ঘন্টা, তাও আবার পায়ে হাটা, বাইসাইকেল, গরুরগাড়ি কিংবা নৌকায়। এই ছিল শতবছর পূর্বের গোপালপুর এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর এমনই যোগাযোগ প্রতিকূল পরিবেশে প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন জন্মে ছিলেন আনুমানিক ১৮৯৪ সনে।
তাঁর পুরো নাম এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন। পিতার নাম আলহাজ্ব কদর উদ্দিন। কদর উদ্দিন ছিলেন এলাকার জমিদার। উনবিংশ শতকের মোয়াজ্জেম হোসেন শুরুতে যখন বেড়ে উঠেছিলেন তখন পূর্ব বাংলার গ্রামীণ মুসলমান সমাজ শুধু শিক্ষায় নয় অর্থবিত্তে অনেক পিছিয়ে ছিল। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের তুলনায়। তখন মুসলমানদের মধ্যে গুটিকয়েক উচ্চ অভিজাত বংশের সন্তানরায় উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার চিন্তা করত। তাতে করে বুঝা যায় মোয়াজ্জেম হোসেন এর পরিবার ছিল উচ্চ ও অভিজাত শ্রেণির । তিনি দুইবার হজ ব্রত পালন করেছিলেন।ধার্মিক পরিবার হিসেবেও ছিল উক্ত পরিবারের বিশেষ খ্যাতি ছিল।
মাঝপাড়ায় অবস্থিত মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রাচীন দালান বাড়িটি এখনও বর্তমান। এই বাড়ির আঙ্গিনায় রয়েছে বাহাড়ি ফলের বাগান, প্রসস্ত পুকুর, কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে। বিশাল আঙ্গিনা নিয়ে তৈরি ২.১৭ একরের এই বাড়িটি এখনও দৃষ্টি নন্দন। মির্জাপুর মৌজার সাবেক এসএ দাগ নং-১২১৫, ১২১৭, ১২২৭ এবং পূর্বের সিএস দাগসমূহ মোয়াজ্জেম হোসেনের নামে খতিয়ান হলেও অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমান বাংলাদেশ জরিপে (Revisional Survey (RS)) খাসখতিয়ান ভুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা ও জেলা ভূমি অফিস এবং ভূমি জরিপ অফিসে অনেক চেষ্টা করেও কোন্ কারণে খাসখতিয়ান ভুক্ত হয়েছে তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
বাড়ির নাম ফলক
প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রাথমিকে হাতেখড়ি হেমনগর প্রাইমারি স্কুলে শুরু হয়েছিল। ১৯১৩ সালে হেমনগর শশীমুখী ইংলিশ হাই স্কুল থেকে এন্ট্রাস (এসএসসি) পাস করেন। পরবর্তীতে আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ থেকে প্রথম বর্ষ শেষ করে ঢাকা কলেজ থেকে দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে ১৯১৫ সালে প্রথম বিভাগে্ন্টিার মিডিয়েড (এইচএসসি) পাস করেন। এরপর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্সিতে ১৯১৭ সালে স্নাতক ও ১৯১৯ তে স্নাতকোত্তর উভয় শ্রেনিতে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে স্বর্ণপদক প্রদান করে। সেই সময় তিনিই ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত প্রথম মুসলিম কৃতি ছাত্র। তৎকালীন টাঙ্গাইলের জমিদার তার এই কৃতিত্বের জন্য হাতির পিঠে চড়িয়ে এলাকা প্রদক্ষিণ করানোর সময় লোকজন তাকে দেখতে ভিড় জমায়। কিছু লোক তাকে দেখতে না পেয়ে সুপারির গাছে চড়লে গাছ ভেঙে পড়ে কয়েকজন আহত হন। সেদিন ছিল গোপালপুরের সাপ্তাহিক হাটবার, শনিবার।
মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রাচীন দালান বাড়ি
অর্থ-বিত্ত, প্রতিপত্তি ও আভিজাত্যের ভেতর বেড়ে ওঠা মোয়াজ্জেম হোসেন ছোটবেলা থেকেই ছিলেন নিভৃতচারী। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় তৎকালীন অনেক শীর্ষ নেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেননি। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে তাঁর এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তাঁকে রাজনৈতিক ক্ষমতাচর্চার দিকে ধাবিত করেনি। তবে পরোক্ষভাবে তিনি রাজনীতি সচেতন ছিলেন বলে মনে হয়। তা না হলে তিনি পরবর্তী সময়ে এমএলএ নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হতে পারতেন না। যাহোক, কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল করার পরও তিনি আইসিএস বা অনুরূপ কোন সরকারি উচ্চ পদে চাকরির চেষ্টা না করে শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। শুরুতেই তিনি যোগদান করেন বহরমপুর কলেজে। পরে কলিকাতার রিপন কলেজে (বর্তমানে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) যোগদান করেন। অধ্যাপনাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। তাঁর চেতনায় ছিল স্বদেশপ্রেম আর স্বাধীনতার প্রতি স্পৃহা। পরাধীন ভারতের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে তাঁর ছিল পূর্ণ সমর্থন। মহাত্মা গান্ধীর ঘোষিত ‘ভারত ছাড়’ (১৯৪২) আন্দোলনে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারত ছাড় আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য তাঁকে রিপন কলেজের অধ্যাপনার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই কারণে তাঁকে কারাবরণও করতে হয়েছিল। এরপর তিনি আর অধ্যাপনার চাকরিতে ফিরে যাননি। আবার সক্রিয় রাজনীতিতেও যোগদান করেননি।
কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনের ছিল ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। চিত্তরঞ্জন দাশের মাধ্যমে এ সময় তিনি কলিকাতা সিটি কর্পোরেশনের এসেসর হিসেবে যোগদান করেন। পদোন্নতি পেয়ে পরবর্তী সময়ে কর প্রধানের পদ লাভ করেন। এই কর প্রধান পদে থেকেই তিনি অবসর জীবনে চলে যান। তবে তারপর তিনি আর কোন চাকরিতে যোগদান করেননি। শেষ জীবনে তিনি সমাজহিতৈষী ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে তাঁর নিজ এলাকা গোপালপুরে বিভিন্ন সমাজসেবা কাজেও সম্পৃক্ত ছিলেন। গোপালপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গোপালপুর কলেজ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালনসহ তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর বাংলো ঘরটিই ছিল গোপালপুর কলেজের অফিস কক্ষ।
বাড়ির আঙ্গিনায় সুদৃশ্য মসজিদ
কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে বিশেষ পরিচিতি থাকার ফলে প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে তৎকালীন শীর্ষনেতাদের যোগাযোগও ছিল। ময়মনসিংহ জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এই সম্পর্ক আরো প্রসার লাভ করে। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আব্দুল হামিদ চৌধুরী, খাজা নাজিমউদ্দিন, ব্যারিস্টার তৈয়ব উদ্দিন প্রমুখ শীর্ষনেতাগণ প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন। এই পরিচয়ের সঙ্গে রাজনৈতিক যোগসূত্র অবশ্যই ছিল। ফলে ১৯৪৮ সালে গোপালপুর-ঘাটাইল নির্বাচনী এলাকা থেকে এমএলএ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক মনোনীতও হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু খাজা নাজিমুদ্দিনের বিশেষ অনুরোধে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।
এই অনুরোধ করার জন্য খাজা নাজিমুদ্দিন প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোমসেনের গ্রাের বাড়ি গোপালপুরের মাঝপাড়া এসেছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির চেয়ারম্যান (১৯২২-২৯), অবিভক্ত বাংলার শিক্ষামন্ত্রী (১৯২৯) ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও (১৯৩৭), পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল (১৯৪৮) ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (১৯৫১) ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিন প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনের গ্রামের বাড়ি গোপালপুরের মাঝপাড়া আসার সময় তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছিলেন মুসলিম লীগের আর এক শীর্ষনেতা নূরুল আমীন। নূরুল আমীন অবিভক্ত বাংলার সর্বশেষ আইনসভার সদস্য ও স্পিকার (১৯৪৬) ছিলেন এবং পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন (১৯৪৮)। এতে বোঝা যায়, ব্রিটিশভারত ও পাকিস্তানের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেনের সখ্যতা ছিল।
মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন
এলাকার এই বরেণ্যে শিক্ষাবিদ ও মহান ব্যক্তির দীর্ঘ কর্মময় জীবনের অবসান ঘটে ৮৭ বৎসর বয়সে ২১ অক্টোম্বর ১৯৮১ সনে। প্রফেসর এস.এম. মোয়াজ্জেম হোসেন, এই ক্ষণজন্মা ও আলোকিত মানুষটির বংশধর ও স্বজনদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তির নাম নিম্নে দেওয়া হলো :
১। আয়েশা আক্তার (মৃত), স্ত্রী।
২। হাজেরা খাতুন (মৃত), স্ত্রী।
৩। এস. এম. এ মোনেম (মৃত)। পুত্র।
৪। হামিদা আক্তার (মৃত)। কন্যা। পিংনা, উকিল বাড়ী, সরিষাবাড়ী জামালপুর।
৫। সালেহা আক্তার (রেনু) (মৃত)। কন্যা। টাঙ্গাইল।
৬। এ্যাডভোকেট এস. এম. মাহমুদ হাসান (আনোয়ার),বিশিষ্ট আইনজীবী, টাঙ্গাইল জজ কোর্ট, পুত্র।
৭। এস. এম. মাহবুব হোসেন (মনোয়ার), সুইডেন প্রবাসী। পুত্র।
৮। হুমায়রা আলম, কন্যা। ঢাকা।
৯। ফরিদা ইয়াসমিন (মিনু)। কন্যা। জামালপুর।
১০। শামীমা আক্তার। কন্যা। ঢাকা।
১১। সাবিহা ইয়াসমিন। কন্যা। ময়মনসিংহ।
১২। জাকিয়া আলম। কন্যা। সু্ইডেন প্রবাসী।
১৩। ইদ্রিস আলী (ডিপটী), (মৃত), সাবেক চেয়ারম্যান, পিংনা, উকিলবাড়ী, সরিষাবাড়ী, জামালপুর। দৌহিত্র।
১৪। বেগম শামছুন নাহার চৌধুরী (জ্যোৎস্না), (মৃত), চৌধুরীবাড়ী, ডাকুরী, গোপালপুর। দৌহিত্রী।
১৫। আব্দুস ছাত্তার চৌধুরী, (মৃত), চৌধুরীবাড়ী, ডাকুরী, গোপালপুর। দৌহিত্রী জামাতা।
১৬। জমিদার আব্দুছ ছোবাহান চৌধুরী, (মৃত), অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট, ডিস্ট্রিক বোর্ড প্রেসিডেন্ট, সমাজ সেবক ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার, চৌধুরীবাড়ী, ডাকুরী, গোপালপুর। দোহিত্রীর শ্বশুর।
১৭। হামিদুর রহমান, (মৃত), সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক। এলাকার অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেছেন। বীরশিং, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। ভাগিনা।
১৮। ইসমাইল হোসেন (খোকা), (মৃত), সাবেক মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক। এলাকার অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করেছেন। দৌলতপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল, ভাগিনা।
১৯। এ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলী, (মৃত), কোলকাতা হাই কোর্ট, উকিল বাড়ী, পিংনা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর। বেয়াই।
২০। এ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেন (ইন্দু মিয়া), (মৃত), কোলকাতা হাই কোর্ট, উকিল বাড়ী, পিংনা, সরিষাবাড়ী, জামালপুর। সাবেক শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক। জামাতা।
২১। বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর হোসেন (আঙ্গুর) তালুকদার, (মৃত), মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। নিকট আত্মীয়।
২২। জাহানারা ইনাম (হাসনা), (মৃত), মিয়া বাড়ী, জামালপুর। দোহিত্রী।
২৩। সাবিহা আক্তার, (মৃত), দোহিত্রী।
২৪। সাঈদা আকবর, (মৃত), দোহিত্রী।
২৫। বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহার আলী তালুকদার, সচিব (অব), টাইঙ্গাইল। নিকট আত্মীয়।
২৬। বীর মুক্তিযোদ্ধা সামছুল আলম, রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। জামাতা।
২৭। তোফাজ্জল হোসেন, সাবেক ডিজি, কৃষি অধিদপ্তর। নিকট আত্মীয়।
২৮। অধ্যাপক মোঃ শামছুদ্দোহা (বাদশা)। বিশিষ্টি শিক্ষাবিদ ও লেখক। পাঁচ তেইল্লা, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল। ভাগ্নিপুত্র।
২৯। আবদুল্লাহ মাহমুদ (মিন্টু), বিশিষ্ট শিল্পপতি ও চেয়ারম্যান, PEAL ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, গুলশান, ঢাকা। দৌলতপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। ভাগ্নেপুত্র।
৩০। শিরিন আহমেদ (সেলিনা), আমেরিকা প্রবাসী। দৌলতপুর, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। ভাগ্নে কন্যা।
৩১। অধ্যাপক ডাঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, সাবেক অধ্যাপক ঢাকা মেডিকেল কলেজ। ভাগিনা।
৩২। প্রকৌশলী এস. এম. মাজহারুল ইসলাম (নয়া মিয়া), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। মাঝপাড়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। বিশিষ্ট সমাজ সেবক, অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের রুপকার। ভ্রাতুষ্পুত্র।
৩৩। মোঃ আব্দুল মান্নান খসরু, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা। মাঝপাড়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। ভ্রাতুষ্পুত্র
৩৪। মোঃ আতাউর রহমান দুলাল, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী। মাঝপাড়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। ভ্রাতুষ্পুত্র।
৩৫। মোঃ শামছুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম-সচিব (অব), চৌধুরী বাড়ী, ডাকুরী, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি, চট্ট্রগ্রামের সাবেক মহাসচিব, গোপালপুর সমিতির সাবেক সভাপতি, কলাম লেখক ও সমাজ সেবক। প্রপৌত্র।
৩৬। এস. এম. মাহমুদুর রহমান (কামাল), সাবেক উর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা। বীরশিং, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। ভাগ্নেপুত্র।
৩৭। কর্নেল (অব.) এস. এম. মিজানুর রহমান (শাহজাহান), ডিওএইচএস, মিরপুর, ঢাকা। বীরশিং, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। ভাগ্নেপুত্র।
৩৮। কর্নেল (অব) শামীমআরা সামাদ, ডিওএইচএস, মিরপুর, ঢাকা। বীরশিং, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। ভাগ্নেপুত্র বধূ।
৩৯। অধ্যাপক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা। বীরশিং, ঘাটাইল, টাঙ্গাইল। ভাগিনা।
৪০। আলহাজ এস. এম. তোজাম্মেল হক (পারভেজ), প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হাজী কল্যাণ পরিষদ মির্জাপুর ইউনিয়ন গোপালপুর। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক। মাঝপাড়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। দোহিত্র।
৪১। অধ্যাপক ড. আলী রেজা, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল। নিকট আত্মীয়।
৪২। অধ্যাপক ডাঃ তানজিনা লতিফ (যুথি), স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ। নলিন, গোপালপুর। ভাগ্নে কন্যা।
৪৩। অধ্যাপক ডাঃ আইয়ুব, শিশু বিশেষজ্ঞ, বিভাগীয় প্রধান, প্রেসিডেন্ট আবুল হামিদ মেডিকেল কলেজ, করিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ। মুন্সিরচর, শেরপুর সদর, শেরপুর। ভাগ্নে কন্যার জামাতা।
৪৪। প্রকৌশলী তাহমিনা লতিফ (রিটা), কানাডা নির্বাচন কমিশনে কর্তরত। ভাগ্নে কন্যা।
৪৫। মোঃ শামছুল ইসলাম চৌধুরী (লাবু চৌধুরী), চৌধুরী বাড়ী, ডাকুরী, গোপালপুর, টাঙ্গাইল। বিশিষ্ট সমাজ সেবক। প্রপৌত্র।
প্রফেসর এস. এম. মোয়াজ্জেম হোসেন এখনও সবার কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। তাঁর স্বজনেরা তাঁকে শ্রদ্ধভরে স্বরন করে আসছে। আমরা তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করুন এবং তিনি যেন কবরে শান্তিতে থাকতে পারেন। আমীন।
তথ্য সংগ্রহ :
১। ইসমাইল হোসেন (খোকা), (মৃত), সাবেক মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক।
২। হামিদুর রহমান, (মৃত), সাবেক নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক।
৩। অধ্যাপক মোঃ শামছুদ্দোহা (বাদশা)। টাঙ্গাইল।
৪। প্রফেসর ড. আলী রেজা, শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূঞাপুর, টাঙ্গাইল।
৫। প্রকৌশলী এস. এম. মাজহারুল ইসলাম (নয়া মিয়া), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
৬। আলহাজ এস. এম. তোজাম্মেল হক (পারভেজ), মাঝপাড়া, গোপালপুর, টাঙ্গাইল।
লেখক পরিচিত :
মোঃ শামছুল আলম চৌধুরী
যুগ্ম-সচিব (অব)
বিশেষ সংবাদদাতা, গোপালপুর বার্তা