নিজস্ব প্রতিবেদক:
শুধুমাত্র জনস্বার্থে সংবাদ লিখার কারণে ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি, গোপালপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক সংবাদ ও পূর্বাকাশ প্রতিনিধি সন্তোষ কুমার দত্তের বিরুদ্ধে জনৈক ব্যক্তিকে বাদী সাজিয়ে ভূমিদস্যূ প্রভাবশালীরা তৎকালীন ভূঞাপুর পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদে ২৩ জুন ২০১০ খ্রিস্টাব্দে একটি মিথ্যা হয়রানিমূলক সাজানো মামলা দায়ের করেন। বেআইনী জনতাবদ্ধে জলমহালে প্রবেশ, মারপিট, জখম, চাঁদাবাজি ও হুমকির অপরাধে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। ১৪৩, ৪৪৭, ৩২৩, ৩১৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩৮৫, ৩৭৯, ৩৮০, ১১৪, ৫০৬ দ-বিধি মোতাবেক এ মামলা রজ্জু করা হয়। মামলার এজাহারে সন্তোষ কুমার দত্তের বিরুদ্ধে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবীসহ ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধনের অসত্য, বানোয়াট অভিযোগ আনা হয়। এ ঘটনায় এলাকার সর্ব শ্রেণির মানুষের মধ্যে নিন্দার ঝড় উঠে। সব শ্রেণি পেশার মানুষ মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন। মামলার বাদী জনরোষে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জন আন্দোলন ঠেকাতে তৎ সময়ের ভূঞাপুর থানার ওসি ফলদা বাজারে সার্বক্ষণিক পুলিশ মোতায়েন করে। তারপরেও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে স্থানীয়রা। শতশত ব্যক্তির স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি ভারতীয় দূতাবাস, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মানবাধিকার সংগঠনে প্রেরণ করেন আন্দোলনকারীরা। কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে তদন্ত ব্যতিরেকে ওসির নির্দেশে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার চার্জশিট প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে সাংবাদিক সন্তোষ কুমার দত্ত প্রথমে মহামান্য হাইকোর্ট থেকে এবং পরবর্তীতে টাঙ্গাইলের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত হতে জামিন লাভ করেন। দীর্ঘ প্রায় ৪ বৎসরের অধিক সময় এ মামলার বিচারকার্য অনুষ্ঠিত হয়। পরিশেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ, যুক্তিতর্কসহ মামলার সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন পূর্বক টাঙ্গাইলের মাননীয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মাহরুফ হোসেন সাংবাদিক সন্তোষ কুমার দত্তের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ কুমার দত্ত এ মামলার রায়কে মিথ্যার বিরুদ্ধে সত্যের জয় বলে উল্লেখ করেন।