ঢাকা: নেশার ট্যাবলেট ইয়াবাসহ আবারও আটক হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান।আর তাকে আটকের তথ্য জানতে চেয়ে পুলিশের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইমদাদুল হক এ চিঠি দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল মিরপুর থানা পুলিশ ৫০ পিস ইয়াবাসহ আবারও মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে। বর্তমানে তিনি জেলহাজতে রয়েছেন।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল বাংলানিউজে ‘ইয়াবা ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা’ শীর্ষক একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি আমলে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আজিজুর রহমান বলেন, বাংলানিউজের সংবাদ আমলে নিয়ে আমরা মিরপুর থানার ওসিকে চিঠি দিয়েছি। জানতে চেয়েছি ইয়াবাসহ আটক মোস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কি-না। চিঠির সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমানের ছবি ও সার্ভিস ফরম দেওয়া হয়েছে।
সূত্র বলছে, ঘটনার সত্যতা মিললে মোস্তাফিজুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
তবে মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আহমেদ ওই চিঠি পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, মোস্তাফিজুর রহমান ইয়াবা ব্যবসায় দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে ইয়াবাসহ কয়েকবার আটক হয়ে জেলও খেটেছেন তিনি।গত ডিসেম্বর মাসেও ইয়াবাসহ ধরা পড়ে ১ মাস ৭ দিন জেলে থাকতে হয় তাকে।
ওই কর্মকর্তা দ্বিতীয়বার ইয়াবাসহ ধরা পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মিরপুর থানাকে চিঠি দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন উপ-পরিচালক ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। তিনি বিভিন্ন সময় গ্রেফতারও হয়েছেন।
বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদে আরো বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক পদে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। তবে তিনিই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
সূত্র বলছে, নিজেকে রক্ষা করতে অভিনব কৌশল নিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই অভিযুক্ত কর্মকর্তা।থানায় নিজের নাম সঠিক বললেও বাবার নাম মিথ্যা বলেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি পরিচয় গোপন রেখে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মোস্তাফিজুর এর আগেও কয়েকবার ৠাব ও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
সূত্র বলছে, গত বছরের ৩ ডিসেম্বর মিরপুর থানা পুলিশ তাকে ইয়াবাসহ আটক করে। পরে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয় এবং পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে, যার নম্বর ০৬/৩/১২/২০১৩। এরপর গত ১৫ এপ্রিল আটকের পর আরো একটি মামলা হয়েছে, যার নম্বর ৭৩/৫/২০১৪।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার গোয়াবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দেওয়া ওই কর্মকর্তার নথি থেকে জানা গেছে, তার বাবার নাম উলফাত হোসেন। কিন্তু মিরপুর থানা পুলিশকে তিনি জানান, তার বাবা গুলজার হোসেন। গোপন রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরির কথাও।
** ইয়াবা ব্যবসায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা!