আজ || সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


নাসির গ্রুপের অর্থপাচারের ‘তথ্য-প্রমাণ’ দুদকে

ঢাকা: নাসির গ্রুপের প্রায় শত কোটি টাকা পাচারের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য ৪টি হুন্ডি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ অর্থপাচার করেছে দেশের অন্যতম বৃহৎ করপোরেট প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে প্রতি বছর বিভিন্ন কায়দায় শতাধিক কোটি টাকা রাজস্বও ফাঁকির তথ্যও এখন দুদকের অনুসন্ধান টেবিলে। অর্থপাচারের অভিযোগ আর করফাঁকি—এ দুই বিষয় নিয়ে বর্তমানে এগিয়ে চলছে দুদকের অনুসন্ধান।

অনুসন্ধানের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান মো: বদিউজ্জামান মঙ্গলবার রাতে বাংলানিউজকে বলেন, নাসির গ্রুপের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ এসেছে গত বছর। অভিযোগ আসার পর আমরা যাচাই-বাছাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেই। এ পর্য্যন্ত অনুসন্ধানে আমরা কিছু তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি।

তিনি বলেন, এ অনুসন্ধান বর্তমানে অগ্রগতি পর্যায়ে আছে। অপরাধের সংশ্লিষ্ঠতা যার বিরুদ্ধে পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে দুদক আইনুনাগ ব্যবস্থা নেবে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো: রফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন।

জানা গেছে, নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন বিশ্বাসকে শিগগিরই জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক। এছাড়া আরও যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের মধ্যে রয়েছেন- জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আলফাজ, আমদানি বিভাগের মতিয়ার রহমান, রফতানি শাখার প্রবীর কুমার, ভ্যাট অ্যাডভাইজার মাইন উদ্দিন প্রমুখ।

এদিকে নাসির গ্রুপের কয়েকটি নথিপত্র তলব করে দুদক নোটিশ পাঠালে প্রতিষ্ঠানটি কৌশলী হয়ে উচ্চ আদালত থেকে আরও কিছু দিন অনুমতি নেয়।

দুদকে আসা একটি অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নাসির গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিটি কোম্পানির নামে এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করে আসছে। আমদানি পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ৪০-৫০ শতাংশ অর্থের এলসি খোলা হয়। পণ্যমূল্যের বাকি ৫০-৬০ শতাংশ তারা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতো। এক্ষেত্রে চারটি হুন্ডি প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্য করতো। প্রতি মাসে এভাবে অবৈধ পন্থায় অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে।

অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ৭ থেকে ৮টি বিশ্বস্ত হুন্ডি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিদেশে অর্থ পাঠিয়ে টাকা আদায়ের রশিদ (মানি রিসিট) ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়।  ই-মেইলে মানি রিসিট পাওয়ার পর নাসির গ্রুপ চেকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে থাকে। প্রতিমাসে কয়েক লাখ টাকা এভাবে হুণ্ডির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এ কাজে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, এ রকম কয়েকটি মানি রিসিটও সংগ্রহ করেছে দুদক।

নাসির গ্রুপের মালিক নাসির বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করফাঁকির অভিযোগও এসেছে দুদকের কাছে। অভিযোগে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির এ কর্ণধার এনবিআরের বিভিন্ন কর্মকর্তাকে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রদান করে বিভিন্ন পন্যের এইচএস কোড পরিবর্তন করে সরকারি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে থাকে।

দুদকের কাছে আরও অভিযোগ এসেছে, গ্রুপের চেয়ারম্যান নাসির বিশ্বাসের আমেরিকার নিউইয়র্কে একটি ফ্ল্যাট ও কোম্পানি আছে। দুদক এখন এ বিষযে বিষদ অনুসন্ধান করছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!