তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে জয়ের বাউন্ডারি। তাঁর মারা ছক্কাই বদলে দেয় ম্যাচের রং। ফাইনালের অন্যতম নায়ক সেই পীযূষ চাওলাই কলকাতায় পা দিয়ে ফাস করলেন নাইটদের জয়ের অন্যতম রসায়ন। সোমবার সন্ধ্যায় শহরে ফিরে যে ব্যাখ্যা দিলেন নাইটদের স্পিনার অলরাউন্ডার, তাতে দুটি কারণ উঠে এল। এক) টিম মিটিংয়ে শাহরুখের শান্ত এবং সতেজ উপস্থিতি। দুই) ফাইনালের আগের দিন মাইক হর্নের মোটিভেশনাল ভিডিও দেখানো। এই দুই ঘটনাই পুরো শিবিরকে উদ্দীপ্ত করে লড়াই করার মানসিক শক্তি জুগিয়েছিল। সোমবার সন্ধ্যায় টিম হোটেলে বসে আলিগড়ের ছেলে পীযূস বলেন, “এগুলো ফাইনালে আমাদের সাফল্যের অন্যতম কারণ বলাই যায়।” আইপিএল ফাইনালের উত্তেজনা নিয়ে চাওলা বলছিলেন, “জনসনকে ছয় মারার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। এক রানের কথাই ভেবেছিলাম। বলের বাউন্স গলার দিকে আসছে দেখে সুযোগটা হাতছাড়া করিনি।” কিন্তু এখন আর এসব নিয়ে ভাবতেই চান না চাওলা। উল্টো বলেন, “যে বলে চার মেরেছি, সেটা স্মারক হিসেবে রাখার কথা ভাবিনি। আসলে আমি এত আবেগপ্রবণ নই।” জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা আর আইপিএল খেলা কোন ঘরানায় বেশি চাপ থাকে? প্রশ্নে পীযূস বলেন, “দু’টোতেই মারাত্মক চাপ। তবে চাপের ধরনটা আলাদা হয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এত টাকা খরচ করে টিম করে। স্বাভাবিকভাবেই ওদের চাহিদাও অনেক বেশি। সেই চাহিদা মেটানোও কিন্তু কঠিন চ্যালেঞ্জ।” নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হলেও জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার আফসোসটা কিন্তু কিছুতেই যাচ্ছে না চাওলার। তিনি বলেন, “ঘরোয়া ক্রিকেট বা আইপিএলে ভালও পারফর্ম করার চেষ্টা করেছি। এখন জাতীয় দলে আমাকে সুযোগ দেওয়া হবে কি না, তা তো নির্বাচকদের ব্যাপার।” স্বঘোষিত আবেগহীন পীযূষ চাওলা কিন্তু এবার আর নিজের দীর্ঘশ্বাসটা আটকাতে পারলেন না!