রংপুর: দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে রংপুরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তিস্তা, ধরলা, যমুনেশ্বরী, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ফুলকুমারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক চরাঞ্চলে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমেছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত রংপুরে প্রায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রংপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আহসান আলী বাংলানিউজকে জানান, তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে।
তবে এতে কী পরিমাণ মানুষ পানিবন্দি হয়েছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুব রহমান জানান, কিছু দিনের মধ্যে বর্ষা মৌসুম শুরু হবে। এ সময় নদীতে পানি বাড়া অস্বভাবিক কিছু নয়।
এদিকে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ড্রেনেস ব্যবস্থা না থাকায় নগরবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে রংপুর মহানগরীর কামাল কাছনা, শাহীপাড়া, শালবন মিস্ত্রিপাড়া, পালপাড়া, মুলাটোল, গুপ্তপাড়া, আলমনগর, গুড়াতিপাড়া সেনপাড়া, মুন্সিপাড়া, কেরানীপাড়া, ডাঙ্গিরপাড়া, ইসলামবাগ ও পর্যটন এলাকার নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ সময় পানির প্রবাহ ছিল ৫১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১ সেন্টিমিটারের ওপর।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তার বাংলাদেশ অংশের ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি হু-হু করে বাড়তে থাকে। কর্তৃপক্ষ ব্যারেজের ৪৪টি গেটের মধ্যে ৪টি গেট খুলে দিয়েছে। ফলে বাড়তে থাকে তিস্তার উজানের পানি।
বুধবার সকাল ৬টায় তিস্তার কাউনিয়া পয়েন্টে ২৭ দশমিক ৪১, ব্রহ্মপুত্রের চিলমারীতে ছিল ২০ দশমিক ৯৪, কুড়িগ্রামের ধরলা নদীতে ২২ দশমিক ৯৯ সেন্টিমিটার পানির প্রবাহ ছিল।