শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, রূপসী বাংলা হোটেল পুনর্নির্মাণের ফলে কোনো কর্মচারী চাকরিচ্যুত হবে না।
বর্তমান সরকারকে শ্রমিকবান্ধব সরকার হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শ্রমিকের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সুবিধার বিষয়টি এ সময় সুরক্ষা করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
শিল্পমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার রূপসী বাংলা হোটেল কর্মচারী ইউনিয়ন এবং রূপসী বাংলা হোটেলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মন্ত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রূপসী বাংলা হোটেল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. সফিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, বিএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এয়ার কমডোর লুত্ফর রহমান (অব.), সচিব আবুল মনসুর, রূপসী বাংলা হোটেলের মহাব্যবস্থাপক জেমস পি. ম্যাকডোনাল্ড উপস্থিত ছিলেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে আমির হোসেন আমু বলেন, বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এ শিল্পের অংশ হিসেবে হোটেল ও মোটেল বিদেশি পর্যটকদের সেবা দিয়ে দেশের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করছে। তাই হোটেলগুলোকে পুন:বিন্যাস ও আধুনিকায়ন জরুরি।
অনুষ্ঠানে রূপসী বাংলা হোটেল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বলেন, হোটেলটির পুনর্নির্মাণের জন্য বন্ধ করে দিলে এতে কর্মরত প্রায় ৭০০ শ্রমিক ও এক হাজার ২০০ পরিবারের জীবনযাপন অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে। এরফলে লাভজনক এ প্রতিষ্ঠান থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। তারা হোটেলটি খোলা রেখেই পুনর্নির্মাণের দাবি জানান।
রাশেদ খান মেনন বলেন, রূপসী বাংলা হোটেলের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরের সময়কার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এটি সবার আবেগের বিষয়। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য এটি পুনর্নির্মাণের প্রশ্ন উঠেছে। পুনর্নির্মাণকালে কোনো শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারাবে না। সরকার শ্রমিক-কর্মচারীর আর্থিক নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
শ্রমিকদের দাবি যুক্তসঙ্গত মন্তব্য করে শাজাহান খান বলেন, বর্তমান সরকারের গৃহীত উদ্যোগের ফলে দেশের বেকারত্ব শতকরা ৩৭ ভাগ থেকে ২৬ ভাগে নেমে এসেছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদারের ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে।