ডেক্স নিউজ : হাতটা জোড়া না লাগাতে পারলেও চিকিৎসকরা মনে করেছিলেন সুস্থ হয়ে উঠবেন দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীব হোসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না সুস্থ হতে। মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাজীব।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মারা গেছেন মহাখালীর তিতুমীর কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন।
রাজীবের চাচা আল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করে আমাদের সময়কে বলেন, রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রেজা আমাদের জানিয়েছেন যে রাজীবের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে আসি। পরে রাত ১২.৪০ এর দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন আইসিইউর চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে রাজীবের চাচা ছাড়াও তার মামা জাহিদুল ইসলাম ও খালাতো বোন রাবেয়া উপস্থিত ছিলেন।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়াও বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করে বলেন, রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হাত হারানো রাজীবের অবস্থার অবনতির কথা শুনতে পেয়ে আমি হাসপাতালে আসি। পরে আইসিইউর চিকিৎসকরা তাকে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পান্থকুঞ্জ পার্কের সামনে বিআরটিসি বাসের সঙ্গে স্বজন পরিবহনের একটি বাসের রেষারেষিতে বাস দুটির চিপায় পড়ে রাজীবের ডান হাত। পরে হাতটিই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাজীবের। পরে তাকে তাৎক্ষণিক নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরদিন ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সরকারের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল।