অন্য পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা না থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতি দেওয়ার কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হলেও ‘অন্য পক্ষ’ বলতে মমতা কাদের বুঝিয়েছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের নতুন সরকার এরই মধ্যে বিনা শর্তে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মতির কথা জানিয়েছে বলেও হিন্দুস্তান টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের সময় ছিটমহল বিনিময়ের পথ সুগম করতে দুই দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তির আলোকে নতুন করে প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়।
কিন্তু স্থল সীমান্ত চুক্তি ও এর আওতায় স্বাক্ষরিত প্রটোকল বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনের বিল ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় উত্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও মমতার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস, আসাম গণপরিষদ (এজিপি) ও বিজেপির বিরোধিতায় তা আটকে যায়।
পরে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি রাজ্যসভায় বিজেপির নেতা অরুণ জেটলির (মোদি সরকারের অর্থমন্ত্রী) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে চুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরলে বিরোধিতার পথ থেকে সরে এসে ধীরে ধীরে নমনীয় হতে থাকে দলটি।
এরপরে তৃণমূল ও এজিপির বিরোধিতা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভারতের পার্লামেন্টের সর্বশেষ শীতকালীন অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন মনমোহন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ।
সোমবার শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুই দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের সহজে চলাচলের প্রস্তাবের বিষয়ে তার সরকারের বিরোধিতা ছিল না। আমরা প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি এবং দুই দেশের ছিটমহলগুলোর বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করার বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই।