৫ জানুয়ারির নির্বাচনবর্জনকারী বিএনপি বলে আসছে, এই নির্বাচন বৈধ নয়, ফলে এর মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারও বৈধ নয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “৪০ ভাগ ভোটার ভোট দেয়ার পর কেন নির্বাচন বৈধ হবে না?”
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি সংবিধানেই রয়েছে জানিয়ে এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে তিনি বলেন, “উনারা এলেই তো হত।
“ইলেকশন না করার সিদ্ধান্ত তার দলের। কোনো রাজনীতিক যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, সে ভুলের খেসারত তাকে দিতে হবে।”
“যারা বৈধতার প্রশ্ন আনে, তাদের জন্ম অবৈধভাবে। যাদের জন্ম অবৈধভাবে, তারা সব অবৈধ দেখে,” বলেন তিনি।
জাপান সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
জাপানে চার দিনের এই সফর সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ৬০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাপান সরকার।
এছাড়া গঙ্গা ব্যারেজ, যমুনা নদীর নিচে বহুমুখী টানেল, বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে রেল সেতু নির্মাণ, ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস এবং ঢাকার চারটি নদী পুনরুদ্ধারসহ কয়েকটি বড় প্রকল্পে দেশটির সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের পাঁচটি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের জন্য ৪০টি প্লট এবং দুটি শিল্প ইমারত সংরক্ষিত রাখার বিষয়েও দুই দেশের সমঝোতা হয়।
আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওডিএ লোন প্যাকেজের বিনিময় নোট স্বাক্ষর করেন।
এর আওতায় জাপান সরকার বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ১২০ বিলিয়ন জাপানি ইয়েন (প্রায় ১ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার) ঋণ দেবে, যা দিয়ে এক হাজার দুইশ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।