তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে, সে জন্য সহায়তামূলক নীতিমালা তৈরি করা হবে। নীতিমালার খসড়া তৈরির কাজ চলছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসোসিয়েশন অব টিভি চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) নবনির্বাচিত কমিটির কর্মকর্তারা মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি একথা বলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হবে। নীতিমালা একতরফা নয়, অংশীদারির ভিত্তিতে হবে। নীতিমালার খসড়া তৈরির পর সেটি উন্মুক্ত করে দিয়ে সবার মতামত নেয়া হবে। এরপর আলোচনা করে নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিকাশমান ক্ষেত্র। এটি যাতে আরও বিকশিত হতে পারে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে, এ জন্য আমি সহায়তামূলক নীতিমালা তৈরি করার পক্ষে; যে নীতিমালা গণমাধ্যমকে বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে নিরাপত্তা দেবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মজগৎ যাতে সম্পূর্ণ স্বাচ্ছন্দ্যমূলক হয়, সে ব্যাপারে নিরাপত্তা দেয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয় ও টিভি চ্যানেলগুলোর এক সঙ্গে কাজ করাই হবে গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য পূর্ণাঙ্গ কোন নীতিমালা নেই। তবে প্রাথমিক খসড়া তৈরির জন্য প্রশাসন ও টিভি চ্যানেলের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি কমিটি কাজ করছে, যেটি বর্তমানে মাঝপথে রয়েছে। তিনি বলেন, এ বৈঠকে অ্যাটকো’র কর্মকর্তাদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। নীতিমালা হবে অংশীদারিত্বমূলক, একতরফাভাবে তৈরি করবে না সরকার। অ্যাটকো’র সভাপতি ও এনটিভি’র চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য একটি নীতিমালা তৈরি হওয়া উচিত। তবে তা হতে হবে জনগণের স্বার্থে, যাতে টিভিগুলো মুক্তভাবে কাজ করতে পারে। অ্যাটকো’র সাধারণ সম্পাদক ও চ্যানেল আই’র বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, নীতিমালা তৈরি হতে হবে গণতন্ত্রের সহায়ক ও সবার জন্য কল্যাণকর। এসময় অ্যাটকো’র অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।