ডেক্স নিউজ, গোপালপুর বার্তা :
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, “সাম্প্রতিক আন্দোলনে হাজারো মানুষের রক্তে ভেজা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগকে জনগণ আর কখনো মাথা তুলে দাড়াতে দিবেনা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েও রেহাই পাবেনা। পৃথিবীর যে কোন দেশেই সে আশ্রয় নিকনা কেন তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সকল হত্যা ও খুনখারাপির বিচার করা হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে তার বিচার হবে।” আজ সোমবার বিকালে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার নলিন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র ইমনের দরিদ্র পরিবারকে একটি অটোরিকসা প্রদান উপলক্ষে এক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু।
বক্তব্য রাখন টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি হাসিনুজ্জামান শাহীন, সম্পাদক এডভোকেট ফরহাদ ইকবাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওবায়দুল নাসির, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশিদুল আলম রাশেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি দুর্জয় হোড় শুভ, গোপালপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম রুবেল, সম্পাদক কাজী লিয়াকত, পৌর বিএনপির সভাপতি খালিদ হাসান উথান, উপজেলা যুবদলের সম্পাদক সাইফুল ইসলাম লেলিন প্রমুখ।
সালাউদ্দীন আহমেদ আরো বলেন, যারা স্বৈরাচারকে সহযোগিতা করেছে সেই সব রাজনৈতিক অপশক্তি বিচারের হাত থেকে রেহাই পাবেনা। পাশের একটি দেশ বাংলাদেশকে করদ রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। আজ সেই দেশে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী অপশক্তি বাইরের অপর একটি শক্তির সাথে মিলে দেশে নানাভাবে অস্থিরতা চালানোর চেষ্টা করছে। তারা কখনো সংখ্যালঘু নির্যাতন, কখনো মন্দিরে হামলা আবার কখনো আনসার বিদ্রোহের নামে দেশে নানা ষড়যন্ত্র ও অস্থিরতা চালানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা সফল হয়নি। এসময় তিনি আরও বলেন, আপনাদের প্রাণপ্রিয় নেতা সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু অচিরেই মুক্তি পেয়ে আপনাদের মাঝে ফিরে আসবেন।
পরে নেতৃবৃন্দ নিহত ইমনের কবর জিয়ারত করেন। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সকলকে সাত্বনা দেন। তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ইমনের খুনিদের কঠিন শাস্তি পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন। পরে ইমনের ছোট ভাই হাফেজ মো. সুজনের হাতে একটি অটোরিকসার চাবি তুলে দেন।
উল্লেখ্য, গোপালপুর উপজেলার নলিন গ্রামের কলেজ ছাত্র ইমন গত ৪ আগষ্ট টাঙ্গাইলের গোড়াই এলাকায় পুলিশের গুলিত আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ আগষ্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।