কে এম মিঠু, গোপালপুর :
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিরাপত্তারক্ষী আবুল কাশেমকে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। হাসপাতাল কমপ্লেক্স চত্বরে যানজট বন্ধের উদ্যোগ নিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের রোষানলে পড়ে হামলার শিকার হয় সে। এ ঘটনায় গোপালপুর থানায় বুধবার রাতে একটি মামলা হয়েছে।
গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলীম আল রাজী জানান, প্রতিদিন বহুরোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার জন্য আসেন। প্রায় সবাই রিকসা-ভ্যান, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল বা সিএনজি চালিত অটোযান সঙ্গে আনেন। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চালকরা অনেক সময় ক্যাম্পাসে গাড়ি দাড় করিয়ে রেখে নতুন করে যাত্রী তোলার হাকডাক শুরু করে। ফলে শুধু যানজট তৈরি হয় তাই নয়, ডাকচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশও বিনষ্ট হয়। অতিরিক্ত যানবাহন হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করায় রোগীসহ তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের স্টাফদের হাঁটাচলার জায়গা থাকেনা। এমন কি জরুরী রোগী এ্যাম্বুলেন্সে উঠানোয় এবং নামানোয় সমস্যা হয়। অনেক অসুস্থ রোগীকে জরুরী বিভাগে ভর্তির জন্য নেওয়া দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। এজন্য হাসপাতাল চত্বরের যানজট নিরসনের জন্য শুধু মাত্র জরুরী রোগীর গাড়ি ছাড়া অন্যান্য গাড়ি অপ্রয়োজনে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে বাইশকাইল গ্রামের ইজিবাইক চালক আল আমীন গাড়ি নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে জোর করে প্রবেশ করে এবং যাত্রী উঠানোর জন্য হাকডাক শুরু করে। হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষী আবুল কাশেম ক্যাম্পাসে ইজিবাইক নিয়ে প্রবেশে নিষেধ করলে আল আমীন তাকে গালিগালাজ ও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরপর বুধবার সকালে নিরাপত্তা রক্ষী আবুল কাশেম সেনেরচর গ্রামের বাড়ি থেকে কর্মস্থল গোপালপুর হাসপাতালে আসার পথে পৌরশহরের পালপাড়া কালিমন্দির সিএনজি ষ্ট্যান্ড এলাকায় একা পেয়ে আল আমীন তার বন্ধু আলী আকবর পথরুদ্ধ করে আটক করে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে গোপালপুর হাসপাতালে ভর্তি করে।
গোপালপুর থানার ওসি মো. জিয়াউল মোর্শেদ জানান, ওই নিরাপত্তারক্ষী বাদি হয়ে গত বুধবার রাতে গোপালপুর থানায় মামলা করেছেন। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।