কে এম মিঠু (বইমেলা থেকে ফিরে) : সোহরায়ার্দী উদ্যানে বইমেলার অন্বেষা প্রকাশনের সামনে রীতিমতো উপচে পড়া ভিড়। চারপাশে গোল বাঁধানো জটলা। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও ভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীরা লাইনে দাঁড়িয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। উদ্দেশ্য ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন এর লিখা “আন্দোলন – সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ” বইটি সংগ্রহ করা। কেউ লেখকের অটোগ্রাফ নিচ্ছেন, কেউবা তুলছেন সেলফি। সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে তারা বই কিনছেন। শনিবার সন্ধ্যায় বইমেলায় এমন চিত্রই চোখে পড়লো।
ইতোমধ্যে বিক্রির তালিকায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রচিত ইতিহাস ও তথ্য নির্ভর এ বইটি। বইটি হতে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত কিশোরী রুমার চিকিৎসা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
এ ব্যাপারে অন্বেষা প্রকাশনের প্রকাশক মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “১৮ দিনে বইটির মোট ১০ বার মুদ্রণ হয়েছে। যা রীতিমত বিষ্ময়কর। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক এই বইটি কেনার জন্য অন্বেষা প্রকাশনের স্টলের সামলে ভিড় করছেন। আমরা এতো মানুষের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি, অতীতের যে কোনো রেকর্ড অতিক্রম করেছে বইটি। ইতিহাস ও তথ্য নির্ভর এ বইটির প্রকাশক হিসেবে আমি আনন্দিত।”
এ ব্যপারে বইটির লেখক ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্মৃতির প্রতি বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে। এতে ৫২, ৬৬, ৬৯, ৭১ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ ও বিবিধ অর্জনের বিষয়গুলো ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছি।
অন্বেষা স্টলে উপস্থিত ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মশিউর রহমান শরীফ বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এস এম জাকির হোসেন অন্বেষা স্টলে বসেন। তিনি তার বই হতে অর্জিত আয়ের টাকা দিয়ে দুয়ারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত কিশোরী রুমার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন, যা লেখকের মানবিক গুণাবলি ফুটিয়ে তুলেছে।
উল্লেখ্য, অন্বেষা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বইটির প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ। ১৭৩ পৃষ্টার বইটির মূল্য ২০০টাকা।