আজ || সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ব্রিজ হলেও রাস্তা নেই!

গোপালপুর বার্তা ডেক্স :

সাত গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের দূর্ভোগ কমাতে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রিজ। কিন্তু গত দেড় বছরেও ব্রিজের দুইপাশে চলাচলের রাস্তা না করায় কোন কাজে আসছে না ব্রিজটি। উল্টো নতুন করে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে তাদের পায়ে হাটার রাস্তা বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকায়।

উপজেলা সদরের সাথে চলাচলের একমাত্র রাস্তা হওয়ায় প্রতিদিনই এই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা সদর ইউনিয়নের আলোকদিয়া, আন্দিবাড়ি, পানান, পাইশানা ও ভাদ্রা ইউনিয়নের কোদালিয়া, সিংদাইর, খাগুরিয়াসহ আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে।

এলাকাবাসী জানান, আশেপাশের প্রায় ৭টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা সদরে আসার জন্য দীর্ঘদিনের চাওয়া ছিল টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়কের নাগরপুর উপজেলার ভালকুটিয়া পাকার মাথা থেকে একটি পাকা রাস্তা ও নোয়াই নদীর উপর একটি ব্রিজ। নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত হলেও সংযোগ সড়ক নির্মিত না হওয়ায় তারা ব্রিজ ব্যবহার করতে পারছে না। তার উপর তাদের যে পায়ে হাটার রাস্তা রয়েছে সেটিও বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস পানিতে ডুবে থাকে। ফলে চরম দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর।

উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভালকুটিয়া থেকে আলোকদিয়া যাওয়ার পথে নোয়াই নদীর উপর ৭২.৬ মিটার ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। মের্সাস দাস ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ বছর পর ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ করে। ব্রিজ নির্মাণের পর ব্রিজের দুপাশে ২০০ মিটার করে মাটি ভরাট করার কথা থাকলেও মাটি ভরাট করা হয়নি। চলাচলের বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় ব্রিজের নিচ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী চন্দনা আক্তার জানান, আগে ব্রিজ ছিল না, তখন যেভাবে নৌকায় ও কাপড় ভিজিয়ে রাস্তা পাড় হয়েছি ব্রিজ নির্মাণের পরও একই অবস্থা। নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ ওয়ার্ডের সদস্য মো. আলম হোসেন জানান, এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি ছিল ব্রিজ কিন্তু ব্রিজ নির্মিত হলেও এর কোন সুফল আমরা পাচ্ছি না। রাস্তা না থাকায় রোগী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের যাতায়াত দুরহ হয়ে পড়েছে। মাটি ভরাটের কাজ নিয়ে এলাকাবাসী ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জটিলতা বাধে। তারা অন্যের জমিতে বাংলা ড্রেজার লাগিয়ে বালু তুলতে গেলে জমির মালিক বাধা দেয়। এরপর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মাটি ভরাট না করেই চলে যায়।

বিষয়টি নিয়ে নাগরপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহীনুর আলম বলেন, ‘মামলা জটিলতার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি। আমরা নতুন করে মাটি ভরাটের জন্য টেন্ডার আহবান করবো। আর পাকা রাস্তা থেকে ব্রিজ পর্যন্ত একটি রাস্তার জন্য আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!