বাহরাইনে আগুনে পুড়ে নিহত ১৩ বাংলাদেশিসহ মোট ১৪ জনের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেন। এসময় বিমানবন্দরে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও চট্টগ্রামের পোটিয়ার সাংস সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে মরদেহ বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে মরদেহ গ্রহণ করেন।
এদিকে মরহেদ পরিবারের নিকট হস্তান্তরের আগে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে পরিবহন ও দাফনের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রাণলায়ের পক্ষ থেকে মরদেহ পরিবহন ও দাফনের জন্য নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ারিশ সনদ পাওয়া গেলে সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।
তিনি জানান, ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য কর্মীরা বাহরাইনের যে সমস্ত কোম্পনিতে কাজ করতো তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ছয়টি কোম্পানির সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।
গত ১১ জানুয়ারি বাহরাইনের রাজধানী মানামায় একটি আবাসিক ভবনে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৩ বাংলাদেশি। এরা হলেন- চট্টগ্রামের বোয়াখালীর চরখিজিপুর এলাকার শাকির আহমেদের ছেলে নাজির আহমেদ, মারিয়া এলাকার আবদুল আজিজের ছেলে জামাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ওয়ালী গ্রামের নাছের মিয়ার ছেলে জসিম, কাইতলার শহীদ মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সুজন ও স্বপন, বড়িয়াগ্রামের আবুল বাশারের ছেলে আনোয়ার ও চাঁন মিয়ার ছেলে জারু মিয়া, চাঁদপুরের কচুয়ার নওয়াপাড়ার আলমের দুই ছেলে শাহাদাত ও টিটু এবং নোয়াখালীর সোনাইমড়ির কাশীপুর এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে ওসমান গনি, চট্টগ্রামের পোটিয়া থানার হাজী রশীদ আহমেদের ছেলে মাহবুব আলম এবং কুমিল্লা সদর থানা দক্ষিণের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মফিজুল ইসলাম, চাদপুর মতলবের ছত্তার খানের ছেলে শাহিন। এদিকে এই ১৩ বাংলাদেশির মরদেহের সঙ্গে কুমিল্লার চদ্দগ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে ওলি আহমেদেরও মরদেহ আনা হয়েছে। তিনি গত ১৬ ডিসেম্বর বাহরাইনে যান এবং ৩১ ডিসেম্বর নির্মাণ কাজ করার সময় মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৭ মে বাহরাইনের পূর্ব রিফা এলাকার একটি ভবনে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে দম বন্ধ হয়ে ১০ বাংলাদেশি মারা যান। ২০০৬ সালে গুদাইবিয়া এলাকায় আগুনে পড়ে ম