প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, মাইনাস টু এর চিন্তা শেষ হয়েছে। এখন মাইনাস টু নয়, বরং প্লাস ফোর হতে পারে।
তবে কারা সেই প্লাস ফোর এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানবাধিকার সংগঠন মুক্তচিন্তা আয়োজিত একক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেন, সরকারের সর্বক্ষমতা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের হাতে দেয়া যেতে পারে। তবে এটি বাস্তবায়ন খুবই কঠিন।
তিনি বলেন, দেশ খুব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা ঠিক করতে হলে দুই নেত্রীর একসঙ্গে বসা দরকার। সাংবাদিকদের এই চেষ্টা করা দরকার। যেকোনো টেলিভিশন চ্যানেল একবার চেষ্টা করে দেখতে পারে। কারণ নির্বাচনের আর ১০ মাস বাকি আছে।
দুই নেত্রী যদি টেলিভিশনে বিতর্কে অংশ নেন তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান বের হয়ে আসতে পারে। দলের মধ্যে গণতন্ত্র আসতে হবে। তারা স্বৈরাচার হয়ে গেছেন। তারা যা বলেন, দলে তাই হয়।
রফিক-উল হক বলেন, গণতন্ত্রের কথা শুধু মুখে বললে হবে না। এটার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহার না করলে দেশে কোনদিন গণতন্ত্র স্থির হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রবীণ এ আইনজীবী বলেন, আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু কিছু কিছু আইনজীবী মুখ দেখে রায় দেন। আমাদের মুখ দেখে রায় নয় আইন অনুযায়ী রায় দিতে হবে।
বিশ্বজিৎ হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন তারা পার্টিও লোক না। কিন্তু আমরা টেলিভিশনে দেখেছি তারা পার্টির লোক। যারা এবাবে মানুষ খুন করতে পারে তারা কোনো দলের লোক হতে পারে না। তাদের দল থেকে বহিস্কার করা দরকার।
বিরোধী দল তত্ত্বাবধাবধায়কের মাধ্যমে ১/১১ আনতে চায় প্রধানমন্ত্রীর এমন ধারণা সঠিক নয় উল্লেখ করি তিনি বলেন, এটি বিএনপিকে ক্রিটিসাইজ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। গত ১/১১ সরকারের সময় আমাদের অনেক ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছে। তাই দেশের মানুষ এটা চায় না।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের সমন্বয়ক সাংবাদিক আমিরুল মোমেনিন মানিক ও আহবায়ক আশিশ কুমার উপস্থিত ছিলেন।