দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগে মামলার প্রায় এক মাস পর পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির তদন্তে সেতু বিভাগ থেকে নথিপত্র জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। জব্দ তালিকায় ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত দর্শনার্থীর তালিকা এবং কয়েকটি ডেক্সটপ কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক রয়েছে।
বুধবার কমিশনের তদন্ত কর্মকর্তারা সেতু বিভাগে গিয়ে বেশ কিছু নথি নিয়ে আসেন।
দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি প্রমাণ করতে হলে দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন। এটা করতে হলে নথিপত্র জব্দের কোনো বিকল্প নেই।
কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, বিকাল ৩টার দিকে দুদকের তদন্ত দল মহাখালীতে সেতু ভবনে গিয়ে প্রয়োজনীয় নথিগুলো জব্দ করে আনেন।
পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, তাতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইয়াকে। মামলার মোট আসামি ৭ জন।
দুদক উপপরিচালক আব্দুলাহ আল জাহিদ, উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, উপপরিচালক ও তদন্ত দলের সদস্য সচিব মির্জা জাহিদুল আলম এবং উপপরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরীর নেতৃত্বে নথিপত্র জব্দ করা হয়।
মামলার পরদিন পদ্মা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিশদ তদন্তের জন্য সংস্থার পরিচালক মনিরুজ্জামানকে সমন্বয়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করে দুদক।
প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৪৫ দিন সময় দেয়া হয় তাদের, এর মধ্যেই তারা সেতু ভবনে অভিযান চালাল।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্ব ব্যাংক তাদের অর্থায়ন বাতিলের পর ফিরে এলেও দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তের ওপর নির্ভর করছে তারা এই প্রকল্পে ঋণ দেবে কি না।
মামলার এজাহার ইতোমধ্যে বিশ্ব ব্যাংককে পাঠিয়েছে দুদক। বিশ্ব ব্যাংক গঠিত প্যানেল তা দেখে প্রতিবেদন দেয়ার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে সংস্থার ঢাকা কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।