ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চারজন সাংবাদিককে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা হলেন- প্রথম আলোর হাসান রাজা, বাংলা নিউজের হারুন অর রশিদ রুবেল, রয়টার্সের এন্ড্রু বিরাজ ও নিউ এইজের সনি রামানি।
শনিবার বিকেলে ভিসির বাসভবন, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট ও এসএম হলের সামনের এলাকাসহ ক্যাম্পাসের কয়েকটি স্থানে পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের মারধর করে।
পঞ্চমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে রোববার সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে ১৮ দল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “হরতাল সমর্থনকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, “এস এম হলে ককটেল বিস্ফোরণের পর সেখানে কয়েজনকে পিকেটার ভেবে কে বা কারা মারধর করে। তারা সাংবাদিক কি না তা জানি না।”
ভুক্তভোগী সাংবাদিক হারুন অর রশিদ রুবেল নতুন বার্তা ডটকমকে জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তারা ক্ষান্ত হয়নি।
সাংবাদিক সনি রামানি নতুন বলেন, “আমরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের কাছাকাছি ছিলাম। পলাশীতে আগুন লেগেছে শুনে সেদিকে যাওয়া শুরু করি। আমাদের মোটরসাইকেল এসএম হলের কাছে গেলে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।”
এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছুটে এসে তাদের মারধর করতে থাকে। সনি রামানি জানান, এ সময় শাহবাগ থানা পুলিশ তাদেরকে গাড়িতে উঠতে বলে। ইতিমধ্যে রমনা জোনের ডিসি নুরুল ইসলাম এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা থানায় যান। মারধরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তারা।
শাহবাগ থানায় যান ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফও।
ওমর শরীফ বলেন, “এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।”