আজ || শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


গোপালপুরে ছাগল পালনে স্বাবলম্বী শিল্পী রাণী এবং আন্না বেগম

কে এম মিঠু, গোপালপুর :

ছাগল পালন করে সচ্ছলতা এনেছেন টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর সভার বসুবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শিল্পী রানী (৪৫) এবং হাটবৈরান গ্রামের আন্না বেগম (৩২)।

সরেজমিনে জানা যায়, ২০১৪ সালে বেসরকারি  উন্নয়ন সংস্থা উন্নত জীবনের সন্ধানে (উষা) থেকে বিনামূল্যে ১টি মাঝ বয়সী ছাগল এবং ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন বসুবাড়ীর বাসিন্দা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অমল চন্দ্র। উন্নত জাতের যমুনা পাড়ি ছাগলটি (রাম ছাগল) অমল চন্দ্র ও তার সহধর্মিণী শিল্পী রাণী সযত্নে লালন পালন করেন। সেই ছাগলটি প্রথম বছর ১টি বাচ্চা দিলেও পরেরবার একাধিক বাচ্চা দেয়। এভাবেই বংশ বিস্তার করে এখন পর্যন্ত ২০টির বেশি ছাগল জন্ম নেয়। এর থেকে ১৪-১৫টির মতো ছাগল দেড় লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করে। ৬টি টিনের ছাপড়া ঘর থেকে বড় ৪ চালা টিনের ঘর দিয়েছেন তারা। অমল চন্দ্র ৭ মাস আগে পরপারে পাড়ি দিয়েছেন।

শিল্পী রাণী বলেন, শেষ সম্বল হিসাবে রেখে গেছেন ৩টি ছাগল। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪০ হাজার টাকা। কয়েকটি ছাগল অসুখে মারা গেছে। একই সংস্থা থেকে ২০২২ সালে ১টি ছাগল পেয়েছিলেন হাটবৈরান গ্রামের ভ্যান চালক শাহআলমের স্ত্রী আন্না বেগম। এপর্যন্ত তিনি ৪টি ছাগল বিক্রি করেন। সাথে কিছু টাকা যোগ করে ১টি উন্নত জাতের বকনা গরু কিনেছেন। ২টি ছাগল অসুখে মারা গেছে এবং এখনো ১টি খাসি রয়ে গেছে। যার বর্তমান আনুমানিক বাজার মূল্য ১৫ হাজার টাকা।

আন্না বেগম বলেন, আমার এক মেয়ে ৭ম শ্রেণি ও আরেক মেয়ে ৩য় শ্রেণিতে পড়ে। ১টা ছাগল রেখে দিয়েছি তাদের পড়ালেখার জন্য টাকার দরকার হলে এটি সহায়ক হবে।

জানা যায়, বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিশেষ জরিপ পরিচালনা করে দরিদ্র পরিবারের সন্ধান করেন উন্নত জীবনের সন্ধানে (উষা)। দরিদ্রদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২০০টি সেলাই মেশিন এবং প্রতিবছর ছাগল বিতরণ করে আসছে।

উষা’র নির্বাহী পরিচালক মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, দারিদ্র্যতা দুর করে মানুষকে স্বাবলম্বী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত অডিট করা হয়। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন থেকে ইউএনও, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিতরণ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!