আজ || বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে নিখোঁজের ১৬ দিন পর কৃষকের গলিত লাশ উদ্ধার       আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা প্রতিবাদে মানববন্ধন       গোপালপুরে বিপুল পরিমাণ বাংলা মদ ও নগদ টাকা জব্দ       গোপালপুরে পোল্ট্রি বর্জ্য বৈরাণ নদীতে; বাড়ছে রোগব্যাধি       গোপালপুরে ঝড়ে পড়া গাছ কাটতে গিয়ে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু       গোপালপুরে দুই হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জালে আগুন দিল উপজেলা প্রশাসন       বিষ প্রয়োগে চার বিঘা জমির ধান বিনষ্টের অভিযোগ       ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে গোপালপুরে জামায়াতের বিক্ষোভ       গাজায় ইসরায়েলের হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে গোপালপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ       ‘দেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে’ -আব্দুস সালাম পিন্টু    
 


গোপালপুরের মোহনপুরে পোস্টঅফিসের ঘর না থাকায় ভোগান্তি

নুর আলম, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়ন একটি জনবহুল গ্রাম। এ ইউনিয়নে প্রায় বিশ হাজার লােকের বসবাস। এই ইউনিয়নের অর্ন্তগত মোহনপুরে রয়েছে বেশ পুরাতন একটি ডাকঘর। যা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮০ সালে। এখানে রয়েছে রবিশস্য ও কাঁচা সবজির বিশাল বাজার। রয়েছে সোনালী ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, পাবলিক হাইস্কুল, প্রাইমারি স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা। এখানে রয়েছে দেশবিদেশে সুনাম কুড়ানো আল ফারুক ক্যাপ  প্রোডাক্ট নামের একটি টুপি তৈরীর কারখানা সহ সরকারি-বেসরকারি নানা অফিস। গ্রামের অনেক লােক দেশ-বিদেশে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এখানে ডাক ব্যবস্থা একেবারেই নড়বড়ে অবস্থা। এজন্য জরুরি চিঠিপত্র, মানিঅর্ডার সময়মতাে পাওয়া যায় না। এতে জনগণের দুর্ভোগের শেষ নেই। একটি ডাকঘরের অভাবে মােহনপুর গ্রামের বিশাল জনগােষ্ঠীকে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে প্রতিদিন।

মোহনপুরে বেশ কয়েক বছর আগে পুরাতন টিনের ভাঙ্গা একটি ঘর ছিলো, ঘরটি বেশ ভাঙ্গা হওয়ায় এতে অনায়েশে প্রবেশ করতে পারতো বিভিন্ন জীবজন্তু। এই ঘরের সাথে একটি স্টিলের টুপি পড়ানো বাক্স ঝুলানো থাকতো, যা দেখে আন্দাজ করা যেতো এটা একটা ডাকঘর। যেটাতে জনসাধারণ চিঠি জমা রাখতেন। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেটিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। নেই কোনো চিহ্ন বিশেষ। যেখানে এখন ইটের দেয়াল তুলে তৈরি করা হয়েছে ভূমি অফিস।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে বর্তমান ভূমি অফিসের পূর্ব পার্শ্বে একটি কাঁচা টিনের ঘর নির্মাণ করে ডাকঘরটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়। পরে ডাকঘরটি ১৯৯৫ সালে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়লে সাবেক চেয়ারম্যান, প্রয়াত খঃ নজরুল ইসলাম নান্নু মাষ্টারের আর্থিক সহযোগিতায় ঘরটি মেরামত করা হয়। ২০০০ সালে মির্জাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নতুন ভবন তৈরির সময় ডাকঘরটি অস্থায়ীভাবে সরিয়ে নিয়ে  পার্শ্ববর্তী থানা ঘাটাইল উপজেলা নরজনা পোস্ট মাষ্টার মো. মন্টু মিয়ার বাসায় অদ্যবধি পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে  যাচ্ছেন। এতে যাতায়াতের সাধারণ মানুষে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পোষ্ট  অফিসের নিজস্ব ভুমি না থাকা এখনও পূর্বের স্থানে স্থায়ী ডাকঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অপর দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডাকঘরটি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বার বার আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

স্থানীয় সংবাদকর্মী বিধান রায় জানান, মোহনপুর ডাকঘরটি অনেক পুরাতন একটি ডাকঘর। গ্রামের জনসাধারণ এখানে চিঠি আদান প্রদান করতেন। কিন্তু এখন নামে ডাকঘর থাকলেও কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এটি। এখানে নেই কোনো প্রকার ঘর, নেই দাড়ানো বা বসার জায়গা। এতে করে মানুষ অন্যত্র চিঠি পাঠাতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, মােহনপুর বাজারের আশেপাশে অনেক খাস জমি আছে ডাকঘরের জন্য একটা সুনির্দিষ্ট স্থান অর্থাৎ একটি বিল্ডিং স্থাপন করা হলে কোনো রূপ ঝামেলা ছাড়া মানুষজন চিঠি পত্র আদান প্রদান করতে পারবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি জনগণেরও দুর্ভোগ লাঘব হবে।

মোহনপুর ডাকঘরের দায়িত্বরত পিয়ন আনোয়ার ইসলাম আনু জানান, আমি অনেক বছর ধরে এই ডাকঘরে চাকুরী করছি। এখানে ১৫ বছর ধরে কোনো প্রকার ঘর নেই। নেই কোনো বসার জায়গা। ঘর না থাকায় বৃষ্টি এলে এখানে সেখানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়। অফিসরুম না থাকায় গ্রাহক এসে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়। গ্রাহকদের এই ভোগান্তি লাগবের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অফিস রুমের বিশেষ প্রয়োজন। আমরা এলাকাবাসী বিষয়টি জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!