গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার ঠান্ডু জানান, ঝাওয়াইল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী কাহেতা গ্রাম একটি স্বনামধন্য জনপদ। ইংরেজ আমল থেকেই এ গ্রামের মানুষ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত এবং রাজনৈতিকভাবে সচেতন। কাহেতা উচ্চবিদ্যালয় উপজেলার একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ কমিটির সভাপতি হিসাবে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন সজ্জন মানুষ। সম্প্রতি স্কুলের পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নতুন কমিটি গঠন করার প্রক্রিয়া চলছিল। গত ২৪ মে স্কুলে মিটিংয়ের তারিখ ছিল। কিন্তু স্কুলের পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক খায়রুল ইসলাম নিজের নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে কাহেতা হাইস্কুলে কমিটি গঠনের পূর্ব নির্ধারিত মিটিং করতে অস্বীকার করেন। তিনি নিরাপত্তার অজুহাতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট পিটিশন দিয়ে মিটিংয়ের স্থান কাহেতা স্কুলের পরিবর্তে উপজেলা পরিষদ ভবনের মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের অফিস কক্ষে নির্ধারণ করান। কাহেতা গ্রামের সন্তান খায়রুল ইসলাম নিজ গ্রামে কেন নিরাপত্তার অভাব অনুভব করলেন গ্রামবাসির নিকট তা বোধগম্য নয়। শোনা যায়, নিজ গ্রামের স্কুলের পরিবর্তে ১২ কিলোমিটার দূরে উপজেলা পরিষদ ভবনে মিটিং করানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল ছকবাধা অপকৌশল। তিনি আরো দাবি করেন, এখনো ওই স্কুলের সভাপতি হিসাবে তিনি কর্মরত রয়েছেন। তাকে না জানিয়ে নিরাপত্তার অজুহাত কেন দেখানো হয় গ্রামবাসির নিকট এখন সেটা পরিস্কার। স্কুলের প্রধান শিক্ষক একজন সজ্জন মানুষ। তিনি বেশ কদিন ধরে অসুস্থ। তিনি এখন ছুটিতে রয়েছেন। তিনি ফাইল নিয়ে লাপাত্তা হননি। সুতরাং প্রকাশিত খবরটিতে তথ্যগত ত্রুটি রয়েছে। তিনি কখনো অপরাজনীতি করেননি। শিক্ষা বিস্তারের জন্যই এখনো রাজনীতি করেন। সুতরাং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটি গঠন নিয়ে কেউ অপরাজনীতি করুক সেটি কারো কাম্য হতে পারেনা।