গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
গোপালপুরে এক শিক্ষকের প্রহারে আহত ছাত্রী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, আজ মঙ্গলবার গোপালপুর পৌর শহরের সূতী ভিএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির গণিতের ক্লাস চলার সময় শ্রেণি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম মাসুম মাতৃ আক্তার রিয়া নামক এক ছাত্রীকে মাথায় আঘাত করে।
ওই ছাত্রী জানায়, ভুলক্রমে ক্লাসে সাধারণ গণিত বইয়ের পরিবর্তে উচ্চতর গণিত বই নেওয়ার অভিযোগে তাকে বকাঝকা শুরু করে। তারপর তোকে মেরেই ফেলবো বলে চিৎকার দিয়ে একটি শক্ত মলাটের বই হাতে নিয়ে তার মাথায় জোরে আঘাত করে। এরপর তাকে ক্লাসের চল্লিশ মিনিট সময় সটান দাড় করিয়ে রাখে। একসময়ে প্রচন্ড মাথা ব্যথায় বমি করতে করতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার দেলোয়ার হোসেন জানান, ছাত্রীর মাথায় শক্ত কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। মাথার বাম পাশে ফুলে জখম হয়েছে। ভেতরে কতোটা রক্তক্ষরণ হয়েছে তা সিটি স্ক্যান ছাড়া বলা যাবেনা।
শিক্ষার্থীর পিতা মেহেদী হাসান টগর জানান, শিক্ষক শাসন করবে এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে গায়ে প্রহার করাসহ অমানবিক শাস্তি দেবে তা বেমানান। এবিষয়ে আমি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক আহত ছাত্রীকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি জানান, কোন শিক্ষার্থীকে শারিরীক বা মানসিক আঘাত করার অধিকার কারও নেই। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।