ডেক্স নিউজ :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণার জন্য ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিভাগে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশের একুশে পদক প্রাপ্ত লেখক ও বিজ্ঞানী ড. নূরুন নবীর লেখা দুটি বই। ‘বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায়’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত’ দুটি বই ইতিহাস ঐতিহ্য বিভাগে গবেষণার জন্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
লেখক তার যুদ্ধজীবনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন- বই দুটিতে। মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ে লেখক ড. নূরুন নবী এ পর্যন্ত ১৭টি বই লিখেছেন। তার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে- অনিবার্য মুক্তিযুদ্ধ, জন্ম ঝরের বাংলাদেশ, বাংলাদেশে পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধ ও প্রেসিডেন্ট নিক্সন- ড. কিসিঞ্জারের দায়, জাপানিদের চোখে বাঙালি বীর, স্মৃতিময় নিপ্পন, আমার একাত্তর, জন্মেছি এই বাংলায়, আমেরিকায় জাহানারা ইমামের শেষ দিনগুলি, শামসুর রাহমান- স্বাধীনতার কবি, অন্তরঙ্গ আলোচনায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও বিশ্ববন্ধু, বর্ন ইন বাংলা, বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড ট্রার্বুলেট বাংলাদেশ, বুলেটস অব ’৭১ : এ ফাইটার্স স্টোরি।
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন সরকারের দ্বিতীয় জাতীয় সম্মাননা- একুশে পদক ২০২০। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন ড. নূরুন নবী। নেতৃত্ব দিয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে। যুদ্ধের সময় ভারতের আর্মি অফিসারদের মধ্যে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সনৎ সিং, মেজর জেনারেলগিল এবং লেফটেনেন্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৭২ সালে ফারইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউতে তাকে ‘দ্য ব্রেইন অব কাদেরিয়া বাহিনী’ বলে উল্লেখ করেছিল। সম্প্রতি আনুষা নন্দকুমার এবং সন্দীপ স্যাকেটের লেখা The War that Made R&AW বইয়ে ড. নূরুননবীর বীরত্ব, বিচক্ষণতা ও সাহসিকতার গল্প তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের আগের ১০ দিনের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ছাড়াও বিজ্ঞানী হিসেবে ড. নূরুন নবীর খ্যাতি রয়েছে বিশ্বব্যাপী। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে কোলগেট টুথপেস্টসহ প্রায় ১০০টি পণ্যের পেটেন্ট আবিস্কারক।
৩০০ বছরের পুরনো ও পৃথিবীর বৃহত্তম গ্রন্থাগার হিসেবে পরিচিত ভারতের ন্যাশনাল লাইব্রেরি। ড. নূরুন নবী জানান- ‘পৃথিবীর বৃহত্তম একটি গ্রন্থাগারে গবেষণার জন্য একজন লেখকের দুটি বই নির্বাচিত হওয়া যেকোনো লেখকের জন্য সম্মান ও গৌরবের। এর মাধ্যমে ভারতবর্ষের নতুনপ্রজন্ম ও পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের গবেষক যদি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে গবেষণা করতে চান, তারা সঠিক তথ্য সহযোগিতা পাবে বই দুটির মাধ্যমে’।