আজ || শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
শিরোনাম :
  শতাব্দি পেরনো স্বর্ণজয়ী মানুষ ‘প্রফেসর মোয়াজ্জেম হোসেন’       অবশেষে গোপালপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত পরিবার সুচিকিৎসা পাচ্ছেন       গোপালপুর-ভূঞাপুর যমুনা চরাঞ্চল এখন মাদক আর দুস্কৃতকারিদের অভয়ারণ্য       গোপালপুরে কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে কৃষক সমাবেশ       খোরশেদুজ্জামান মন্টুকে এলাকাবাসি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চান       গোপালপুর উপজেলা পরিষদ স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা       গোপালপুরে কুরতুবী মাদ্রাসার উদ্ধোধন       সালাম পিন্টুর মুক্তির আনন্দে গোপালপুরে মোটরসাইকেল র‍্যালি       গোপালপুরে জাসাস এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত       গোপালপুরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সম্মেলন    
 


গোপালপুরের সেই মরণফাঁদ ফুটব্রীজটি অবশেষে ভেঙ্গে পড়েছে

কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরশহরের কালীমন্দির সংলগ্ন বৈরাণ নদীর উপর ব্যস্ততম মরণফাঁদ ফুটব্রীজটি অবশেষে ভেঙ্গে পড়েছে। আজ শুক্রবার (১১ জুন) ভোরে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী আসাদুল হক মাসুম জানান, নড়বড়েভাবে দাঁড়িয়ে থাকা এ ফুটব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ আর যানবাহন পারাপার হতো।আজ ফজরের নামাজের পরপরই ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জানা যায়, ১৯৯২ সালে বৈরাণ নদীর দুই পাড়ের জনগণের যোগাযোগ সমস্যা সমাধানে পৌরশহরের কোনাবাড়ী বাজার ও কালীমন্দির পয়েন্টে এলজিইডি এ ফুটব্রীজটি নির্মাণ করে। নদীর দুই পাড়ে হাটবাজার, পৌরমার্কেট ও একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় যোগাযোগ ও পরিবহণে ফুটব্রীজটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গতবছর বন্যার সময় ফুটব্রীজটির নিচে থেকে মাটি সরে যাওয়ায় ব্রীজের পিলার আলগা হয়ে যায়। এক পাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী রেলিং বানানো হয়। ফুটব্রীজটির পাটাতনে বড়ো বড়ো গর্ত হওয়ায় ছোটছোট যানবাহণ পারাপারেও ব্রীজটি দুলতো। আর রেলিংবিহীন এ ফুটব্রীজ দিয়ে পারাপারে প্রায়ই ঘটতো মারাত্মক দুর্ঘটনা।

যেকোনো সময় ব্রীজটি ধসে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করে, পৌরসভা কার্যালয় থেকে ১৫০ গজ দূরে এ ব্যস্ততম ফুটব্রীজটি সংস্কারে কর্তৃপক্ষকে বারবার পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলে আসছিল স্থানীয় বাসিন্দারা। মরণফাঁদের এ ফুটব্রীজটি দ্রুততার সাথে ভেঙ্গে একইস্থানে একটি প্রশস্ত ব্রীজ নিমার্ণের দাবীও জানানো হয়।

পৌরময়র রকিবুল হক ছানা জানান, সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নদীর কালীমন্দির পয়েন্টে নতুন সেঁতু নির্মাণের জন্য তিনকোটি টাকা বরাদ্দ মিলেছে। খুব দ্রুতই এখানে বড় আকারে সেঁতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আপাদত এখন বাঁশের সাঁকো হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ মল্লিক জানান, পৌর প্রশাসন খুব দ্রুতই এখানে সেঁতু নির্মাণ শুরু করবেন বলে তাকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!