মিশরের বিরোধী দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসি। খসড়া সংবিধান অনুমোদন হওয়ার পর বুধবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে এ আহ্বান জানান মিশরের প্রেসিডেন্ট। এছাড়া, তিনি নতুন সংবিধানকে সমর্থনের জন্য দেশটির জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তবে বিরোধী দলগুলোর জোট ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট সংলাপের এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। বিরোধীরা জানিয়েছেন, তারা এই সংবিধানের বিরোধিতা অব্যাহত রাখবেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এমনকি পার্লামেন্টেও এর বিরোধিতা করবেন তারা ।
টেলিভিশনে দেওয়া ঐ ভাষণে মুরসি বলেন, “মিশরে এখন এমন একটি সংবিধান রয়েছে, যেটি কোনো দখলদার কিংবা কোনো প্রেসিডেন্ট চাপিয়ে দেননি। এটা এমন একটি সংবিধান, যেটা মিশরের মানুষ তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী নির্বাচন করেছে।”
বিরোধীদের উদ্দেশ্যে মুরসি বলেন, “আপনাদের অনেকেই হয়তো গণভোটে না ভোট দিয়েছেন, কিন্তু দেশ গড়ার জন্য আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এর জন্য এখন একটি সংলাপ জরুরি, এটা ছাড়া একযোগে কাজ করা সম্ভব নয়।”
ভাষণের আগে, দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে নতুন সংবিধান অনুমোদন করা হয়। এছাড়া ঐ অধিবেশনে প্রেসিডেন্টের নিয়োগ দেওয়া সুরা কাউন্সিলের ৯০ জন সদস্য শপথ নেন।
ইসলামি শরিয়া আইনকে প্রধান উৎস হিসেবে ঘোষণা করে গত নভেম্বরে খসড়া সংবিধান প্রণয়ন করে মুরসি সরকার। বিরোধী দলগুলো এর তীব্র বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু করলে সরকার গণভোটের ডাক দেয়। গত ১৫ ও ২২ ডিসেম্বর দু’দফা গণভোটে ৬৩ দশমিক ৮ ভাগ হ্যাঁ ভোট পেয়ে অনুমোদন লাভ করে সংবিধানটি। অবশ্য সরকার-বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। এছাড়া, ৫ কোটি বিশ লাখ ভোটারের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ মানুষই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় এ গণভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।