কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হওয়া প্রেমানন্দ দাসের স্বজনের পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির। আশ্বাস দিলেন খুনিদের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করাসহ অসহায় পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের।
গত সোমবার রাত আটটার দিকে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সুজনবাড়ীতে নিহত প্রেমানন্দের স্বজনের খোঁজখবর নিতে যান এমপি ছোট মনির। এসময় খুনিদের দ্রুততার সাথে গ্রেফতার করাসহ ফাঁসির দাবি করেন, নিহত প্রেমানন্দের অসহায় স্ত্রী খুকি রাণী, দুই ছেলে রতন ও সাধন চন্দ্র দাস, কলেজ পড়ুয়া নাতনী রত্না রাণী।
টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির গোপালপুরের মাটি থেকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত দুর্বৃত্তদের উৎখাতে কঠোর হুশিয়ারী ব্যক্ত করেন। তিনি প্রেমানন্দের খুনিদের আইনের আওতায় দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করাসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেন।
গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর রেজাউল হক, ধোপাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম তালুকদার, মামলার তদন্তকারী দারোগা আকতারুজ্জামান সোহাগ, সাংবাদিক কে এম মিঠু প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের সুজনবাড়ী গ্রামের মৃত অর্জুন মাঝির ৮০ বছরের বৃদ্ধ ছেলে প্রেমানন্দ দাসের ক্ষতবিক্ষত লাশ ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
পরিবার ও থানা সূত্রে জানা যায়, নির্মমভাবে খুন হওয়া প্রেমানন্দ দাস দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি থেকে অর্ধকিলো দূরে রাস্তার পাশে একটি মুদিদোকান পরিচালনা করতেন। রাতের বেলায় তিনি দোকানেই ঘুমাতেন এবং পরিবারের লোকজন প্রতিরাতে তাকে খাবার দিয়ে আসতেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা প্রেমানন্দের মাথা ও মুখ থেঁতলিয়ে খুন করে বাড়ির পাশে একটি ধানক্ষেতে ফেলে রাখে। পরদিন সকালে স্থানীয়রা লাশটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এ খুন হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। পরে গোপালপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের ও টাঙ্গাইল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে বাড়ির পাশেই প্রেমানন্দের অন্তষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।