কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে কর্মরত ৩য় শ্রেণির (১১-১৬ গ্রেডভূক্ত) কর্মচারীগণ পদ-পদবী পরিবর্তনসহ বেতন গ্রেড উন্নীতকরণের দাবীতে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন শুরু করেছে।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) এর কেন্দ্রিয় কমিটি কর্তক আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। সচিবালয়ের ন্যায় পদ-পদবী ও বেতন গ্রেড উন্নীত করার দাবী আদায়ের লক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে কর্মরত সারাদেশের কর্মচারীগণ এ কর্মবিরতি পালন করবে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি গোপালপুর উপজেলা শাখার কর্মচারীগণ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সম্মুখে একটানা ১৫ দিনব্যাপী পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচী পালন আরম্ভ করেন।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এবং ভূমি অফিসে আগত সেবাপ্রার্থীরা কর্মবিরতির প্রথম দিনেই চরম ভোগান্তিতে পড়েন। জরুরী কাজ নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক জনসাধারণ সেবা না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
কর্মবিরতী চলাকালে বক্তব্য রাখেন, গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে কর্মরত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. খলিলুর রহমান, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক মো. কামরুল হাসান, সায়রাত সহকারী মো. নাজমুল আহসান, ডিএমও মো. ওয়াজকরনি প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পদবী পরিবর্তন সংক্রান্ত সার সংক্ষেপ অনুমোদন দিলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করার পরও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি। ১৯৯৫ সালের ১৯ মে সচিবালয়ের প্রায় দুই হাজার তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা পদে উন্নীত করা হয়। কিন্তু তাদের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই দ্রুততার সাথে তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান।
বক্তারা আরও জানান, আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান এই কর্মসূচীর মধ্যে যদি সরকার কর্তৃক তাদের দাবি বাস্তবায়নে পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে আন্দোলনকারীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।