কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার সূতি দিঘুলিপাড়া গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শফিকুল ইসলাম ঝন্টুকে (৪০) আজ বুধবার দুপুরে পলাশ সামাজিক গোরস্থানে ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিয়মানুযায়ী দাফন করা হয়েছে।
শফিকুল ইসলাম ঝন্টু ওই গ্রামের মৃত আজিজুল ইসলামের (আজিজ ডাক্তার) পুত্র। তিনি বাংলাদশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড নরসিংদী শাখায় অফিস সহকারি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
সূতি গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, শফিকুল মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে এক সপ্তাহ আগে বাড়ি আসেন। পাঁচ দিন ধরে জ্বর, কাশিসহ তার শরীরে করোনার সকল উপসর্গই উপস্থিত ছিলো। কিন্তু সে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়ে বিষয়টি গোপন রেখে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় তার ভয়ানক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কিন্তু তখন কেউ কাছ আসেনি। পরে শ্বাসকষ্ট নিয়েই তিনি মারা যান।
গোপালপুর থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শফিকুল গত রাতে মারা যাওয়ার পর করোনার ভয়ে বাড়ির লোকজন সরে পড়ে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসন ওই বাড়িতে হাজির হয়। পরে ইসলামী ফাউন্ডেশনের নিয়মানুযায়ী তার দাফনের ব্যবস্থা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলীম আল রাজী জানান, করোনা নিশ্চিত হওয়ার জন্য মৃতের নমুনা সংগ্রহ করাসহ তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
অপরদিকে আজ (১৫ জুলাই) গোপালপুরে নতুন করে ৪ ব্যক্তি করোনায় সনাক্ত হয়েছেন। তারা হলেন, কোনাবাড়ীর ইউসুফ আলী (৫২), থানা সংলগ্ন এলাকার লুৎফর রহমান (৫০), হাট বৈরাণের হোসেন আলী (৪৯) এবং বড়মা গ্রামের সখিনা খাতুন (২৮)।
উপজেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ৪৫ জন। এরমধ্যে ৩২ জন সুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।