গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
আগামী ১০ মার্চ প্রথম ধাপে দেশের ১২ জেলার ৮৭ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে আওয়ামীলীগ।
আজ সোমবার সকালে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কেন্দুয়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী প্রার্থী আসাদুল হকের হাতে ফরম তুলে দিয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামীলীগের স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিষয়ক কমিটি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্তভাবে মনোনীত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে আগ্রহীরা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারবেন এবং ওইদিন বিকাল ৫টার মধ্যে তা জমা দিতে পারবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন ফরম জমার শেষ দিন, বাছাই ১২ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন রাখা হয়েছে।
প্রথমবারের মত উপজেলা নির্বাচন দলীয়ভাবে হলেও আওয়ামীলীগ ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেবল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবে তারা। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোনো মনোয়ন দেবে না তারা।
এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, দেশের আট বিভাগের উপজেলাগুলোকে চার দিনে চার ধাপে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রথম ধাপে ৮৭ উপজেলায় ১০ মার্চ, দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ এবং চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বাকিগুলোর মেয়াদউত্তীর্ণ কবে হচ্ছে তা বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তী ধাপে ভোট শেষ করা হবে। এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে জেলার সদর উপজেলাগুলোতে পুরোপুরি ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আগের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ভাবে হয়েছিল। তবে আইন সংশোধন হওয়ায় এবার দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন হবে। অবশ্য ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি। ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। এতে প্রথম তিন পর্বে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যায় বেশি বিজয়ী হয়েছিল। তবে পরের তিন পর্বে আওয়ামীলীগ সমর্থিতরা তাদের ছাপিয়ে যায়।