আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে বিজয়ের মাসে পতাকার চিত্রে ১৫৭টি স্কুল ভবন উপহার পেল ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা

কে এম মিঠু, গোপালপুর :

স্কুল নয়। যেন একেকটি ক্ষুদ্র বাংলাদেশ। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় পতাকায় মোড়ানো দৃষ্টিনন্দন ১৫৭টি স্কুল ভবন উপহার দেয়া হয়েছে শিশুদের।

শিশুদের স্কুলগামী করা, ঝরেপড়া রোধ, জাতীয় পতাকা ও সঙ্গীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধে হাতেখড়ি দেয়ার লক্ষ্যে গোপালপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মহান বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এ ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে। উপজেলার ১৫৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিটি ভবনই লাল সবুজের রং আঁকিয়ে জাতীয় পতাকার চিত্রে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পেশাদার শিল্পীদের দিয়ে ভবনগুলো অঙ্কন করায় একেকটি স্কুলকে দেখলেই মনে হয় যেন একেকটি লালসবুজের বাংলাদেশ। কোন কোন স্কুলের ভেতরের দেয়ালও একইভাবে মনোরম চিত্রে শোভায়িত করা হয়েছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ভিবিন্ন চিত্রকেও প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আনজু আনোয়ারা ময়না জানান, এটি একটি মডেল। লাল সবুজ পতাকায় মোড়ানো ভবন মানেই সেটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এজন্য কাউকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুঁজে বের করতে কষ্ট করতে হয়না। তিনি আরো জানান, প্রথম শ্রেণিতে পড়া একটি কচি শিশু এখন সহজেই জাতীয় পতাকা চিনতে পারে। স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে সে স্বাচ্ছন্দবোধ করে। লাল সবুজকে মন থেকে সে ভালোবাসতে শুরু করে। জাতীয় পতাকার সাথে সাথে সে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে দারুন পছন্দ করে। জাতীয় পতাকা, সঙ্গীত আর মুক্তিযুদ্ধ তার হৃদয়ে একাকার হয়ে যায়। শিশুটি মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ নিয়েই বড় হয়ে উঠার পাশাপাশি নিখাদ দেশপ্রেমের সাথে পরিচিত হবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম রুমি জানান, এ উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২৭ হাজার শিশু পড়ালেখা করে। এসব শিশুদের মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ শেখানোর পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিদ্যালয়কে শিশুদের জন্য সেকেন্ড হোম করার চিন্তা থেকেই ‘এক্সিল্যান্ট স্কুল’ নামে এ ব্যতিক্রমধর্মী প্রয়াস নেয়া হয়। এতে ব্যাপক সুফল মিলছে বলে জানান তিনি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!