গোপালপুর বার্তা ডেক্স :
টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলকে নিয়ে অপপ্রচার করার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সম্পাদক আনিসুর রহমান হীরা। উপস্থিত ছিলেন হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ মিয়া, গোপালপুর কলেজের সাবেক জিএস ফেরদৌস ওয়াহিদ রিপন, সার্জেন্ট (অব.) ফারুখ হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম তালুকদার, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, সুমন হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ও নাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
লিখিত অভিযোগে আনিসুর রহমান হীরা জানান, আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে বিশিষ্ট সমাজসেবক শিল্পপতি খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল (সিআইপি) গত সোমবার দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন তার সমর্থকগোষ্ঠীসহ হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী। মনোনয়নপত্র জমাদান ও অন্যান্য কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন। উপস্থিত নেতাকর্মীরা খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের নির্দেশে তাৎক্ষনিক ঢাকাস্থ একটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সুস্থবোধ করায় তিনি আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের পরামর্শে গত সোমবার রাতেই বাদশা মিয়াকে পুনরায় চেকআপের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাকে ইসিজি ও সিটিস্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই আনিসুর রহমান হীরার সহযোগিতায় তাকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল নিয়মিতভাবে তার খোঁজখবর রাখার পরও, বিষয়টিকে পুঁজি করে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল আজ মঙ্গলবার ভোরে “অসুস্থ সমর্থককে ফেলে গেলেন এমপি প্রার্থী রোমেল” শিরোনামে একটি বানোয়াট খবর প্রকাশ করে। খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেলের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করার মানসেই এই মিথ্যা ও বানোয়াট খবরটি প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেন জনাব হীরা।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. বাদশা মিয়ার তৃতীয় পুত্র মো. গোলাপ নবী মোবাইলে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান, তার বাবাকে হাসপাতালে দেখা শোনার দায়িত্ব নিয়েছেন হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ। খন্দকার রোমেল নিয়মিত বাবার খোঁজখবর নিচ্ছেন। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরির অবকাশ নেই।
হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এ ধরনের দায়িত্বহীন ও হলুদ সাংবাদিকতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।