নিজস্ব প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌরশহরের মেহেরুন্নেসা মহিলা কলেজের গেটে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পর পর চারটি বোমার বিস্ফোরণের ঘটে। এতে শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় গোপালপুর-মধুপুর সড়কে যান চলাচল।
গোপালপুর থানা পুলিশ জানায়, আগামী ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষিত হবে। এ মামলার অন্যতম প্রধান আসামী হলেন স্থানীয় সাবেক সাংসদ এবং বিএনপির সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস ছালাম পিন্টু ও তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা মাওলানা তাজউদ্দীন আহমেদ। মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সার্বিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার লক্ষে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াতকর্মীরা নাশকতা করার উদ্দেশ্যে পৌরশহরের মেহেরুন্নেসা মহিলা কলেজ মাঠে সন্ধ্যায় অবস্থান করছিল বলে খবর পায় পুলিশ।
পরে থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত সেখানে হাজির হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কলেজের ভেতর থেকে সন্ত্রাসীরা পর পর চারটি হাত বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায় বলে জানান ওসি হাসান আল মামুন। তিনি আরও জানান, ভিতর থেকে কলেজ গেট বন্ধ থাকায় সন্ত্রাসীরা সহজেই দেয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে থানা পুলিশের দল।
রাত সাড়ে নয়টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা ৭৫জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম রুবেল জানান, তার জানা মতে বিএনপি জামায়াতকর্মীদের কলেজের ভিতরে অবস্থান করার কোন কারণ নেই। কলেজের ভিতরে ছাত্রী হোস্টেল। সেখানে কেন দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেবেন? তাছাড়া দলীয় কোন কর্মসূচিও আজ ছিলনা। ঘটনাটি তার কাছে ভৌতিক বলে মনে হচ্ছে।