নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদীর চরাঞ্চলে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অধিক জমিতে বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে।
শুরু হয়েছে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের চরভরুয়া, জগৎপুরা, চরতাড়াই, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, রামাইল, বাসিদকল, গাবসারা ইউনিয়নের রুলিপাড়া, গোবিন্দপুর, রামপুর, রায়ের বাশালিয়া এবং ডিগ্রীচর অঞ্চলে বাদাম কাটা-মাড়াইয়ের উৎসব। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজার দর ভাল পাওয়ায় নদী ভাঙ্গন ও বন্যাকবলিত এসব চরাঞ্চলের অবহেলিত কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক ।
বেলে মাটিতে বাদাম চাষ অত্যান্ত উপযোগী হওয়ায়, করালগ্রাসী যমুনার পানি কমে গিয়ে চর জেগে উঠতে শুরু করলেই, চৈত্র-কার্তিক মাসে চরাঞ্চলের কৃষকগণ তাদের বেলে মাটির জমিতে বাদামের বীজ বপনসহ চাষ শুরু করে। দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যেই কৃষক বাদাম তুলতে শুরু করে।
সোনামুই গ্রামের বাদাম চাষী আকবর আলী বলেন, বাদাম আবাদে অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ একদম কম। বাদাম সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার হওয়ায় এর চাহিদা সব সময়ই থাকে। তাই আমার মতো এবার আশপাশের অনেক গ্রামের মানুষ বাদাম চাষ করছেন। বাজার দামও ভালো পেয়েছি।
চরাঞ্চল সংলগ্ন অর্জুনা ইউনিয়নে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, ভিটামিনযুক্ত এই বাদাম বেশ চাহিদা সম্পন্ন। এ ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে জোগান দিয়ে থাকে অন্যদিকে তেলের চাহিদা পূরণসহ বাদাম গাছের কচিপাতা কেটে কৃষকরা তাদের গবাদি পশুকে খাওয়ান। এতে গরুও স্বাস্থ্যবান হয়। চলতি বছর বাদামের ফলন ভালো হওয়ায় আশা করছি, গোপালপুর ও ভূঞাপুর উপজেলায় প্রায় এক হাজার কৃষক লাভের মুখ দেখবেন। চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে গেছে। বাদাম আবাদে সেচ, সার ও শ্রমিক খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন বাদাম আবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভালো।