আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


সন্তানের ইন্টারনেট অপব্যবহার ঠেকাতে নজর রাখুন

।। গোপালপুর বার্তা ডেস্ক ।।

ইন্টারনেট চালানোর ব্যাপারে আমাদের সন্তানদের ওপর নজর রাখা একান্ত জরুরি। তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে, তবে তা শুধু মাত্র একটি পরিণত বয়সে, বিশেষ করে যখন তারা হাইস্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে পড়া শুরু করবে এবং তা শুধু ব্যবহার করতে পারে তাদের পড়াশোনা, গবেষণা এবং জ্ঞান অর্জনের জন্য। আমাদের সন্তানরা ইন্টারনেটের যাতে অপব্যবহার না করে, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্তই জরুরি। বেস্ট অপশন হলো অপরিণতি বয়েসে তাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগই না দেয়া।

গবেষণায় দেখা যায়, যে শিশুরা দীর্ঘসময় ইন্টারনেট বা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে, তাদের আত্মসম্মান অনেক নিম্ন পর্যায়ে চলে যায়। এছাড়া তাদের ভেতরে সৃজনশীলতা হ্রাস পায় ও আচরণগত সমস্যা দেখা দেয়। এতে সামাজিক উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরি যে আমাদের সন্তানদের প্রতিদিন মনিটরিং করা, তাদের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলা এবং জিজ্ঞাসা করা তারা আজ কে কী কাজ সম্পন্ন করছে।

আমরা যখন প্রতিদিন কৰ্মস্থল থেকে বাসায় ফিরি, তখন প্রথমে সবাইকে হ্যালো বলতে পারি, ছেলেমেয়েসহ পরিবারের সবাইকে এবং জিজ্ঞেস করতে পারি, আজ কে কী কাজ সম্পন্ন করেছে। কোনো ইন্টারেস্টিং বিষয় ছিল কিনা।

সপ্তাহে একদিন ফ্যামিলি মিটিং এবং টি-পার্টি করতে পারি, সেখানে আলোচনা হবে গত সপ্তাহের কে কী করেছে এবং আগামী সপ্তাহে কার কী করার পরিকল্পনা আছে- তা জেনে নিতে পারি, সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারি প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এতে বেনিফিট হবে (১) ফ্যামিলির প্রতিটি বিষয়এ সবার কাছে আপডেট হওয়া (২) পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক গভীর হওয়া (৩) এবং বিশেষ করে তা পরিবারের সদস্যের মাঝে যদি কোনো দূরত্ব থাকে তা দূর করতেও সাহায্য করবে।

এটি একান্তই জরুরি যে টাইম টু টাইম ছেলেমেয়েদের কাউন্সেলিং করা, তাদের লেখাপড়া এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া এবং কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকলে কালক্ষেপণ না করে তা সমাধানের জন্য সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়া। প্রয়োজনে বাবা-মায়েরা স্কুলের শিক্ষক, সিনিয়র পেরেন্টস বা কাউন্সিলরেরকাছ থেকেও সাহায্য ও পরামর্শ নিতে পারেন। যদি এমন কোনো বিশেষ সমস্যা থাকে যা সমাধান করা একান্তই প্রয়োজন এবং বাবা-মা তা যদি ঠিক করতে না পারেন।

 আশা করি, সব পিতা-মাতা তাদের ছেলেমেয়েদের মনিটরিং এবং কাউন্সেলিং করার গুরুত্ব অনুধাবন করবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!