আজ || সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : টাঙ্গাইলের গোপালপুরে একটি ঝুঁকিপূর্ণ জীর্ণ ভবনে এসএসসি পরীক্ষা দিতে বাধ্য হচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। আজ সোমবার সরেজমিনে গোপালপুর পৌরশহরের খন্দকার আসাদুজ্জামান একাডেমির পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে এ করুণ দৃশ্য দেখা যায়।

পৌরশহর থেকে এক কিলো দূরে অজপাড়া গাঁ’র বৈরাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রে ভেন্যু হিসাবে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। শতাব্দী প্রাচীন ভবনটির ছাদে ও দেয়ালে অসংখ্য ফাটল। ভীম ফেটে লোহার রড বের হয়ে আছে। খসে পড়ছে প্লাস্টার। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভবনটিকে সাত মাস আগে বিপদজ্জনক বলে ঘোষণা করেন। ভবন ধসে পড়ার ভয়ে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সারা বছর মাঠে ক্লাস করে। অথচ এমন বিপদজ্জনক ভবনটিকে রাজনৈতিক তদবীরে পরীক্ষা কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করেন ঢাকা বোর্ড। কেন্দ্রের এ ভেন্যুতে ৮৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করছে। অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের কেন্দ্রে প্রবেশ করিয়ে দিয়ে বাইরে উৎকন্ঠার মধ্যে অপেক্ষা করেন। তাদের ভয়, না জানি কখন ভবন ধ্বসে দুর্ঘটনায় তাদের সন্তান প্রাণ হারায়।

পরীক্ষার্থী মাহফুজা মীনা ও দীপ্ত দেবনাথ জানান, ভবনের দুই পাশে কোনো জানালা নেই। এ জন্য পরীক্ষা হলের কক্ষ থাকে অন্ধকারাচ্ছন্ন। বিদ্যুতেরও কোনো ব্যবস্থা নেই। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেন, টানা তিন ঘন্টা স্বল্প আলোয় লিখতে গিয়ে চোখের উপর চাপ পড়ে, মাথা ঘুরায়। অনেকে বমি করে। ভবনটির সব কয়টি কক্ষেই স্থানাভাব। গাদাগাদি করে বেঞ্চ বসিয়ে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। তিনটি কক্ষের একটি হচ্ছে চিলেকোঠা। ১ নং কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পঁচিশ জনের বসার উপযোগী কক্ষে একচল্লিশ জনকে বসানো হয়ছে। স্কুলের তিন পাশ ঘিরেই ঘেষা আবাসিক এলাকা। ফলে পাবলিক পরীক্ষা নেয়ার সুন্দর পরিবেশ ঐ কেন্দ্রে অনুপস্থিত। স্কুলে যাওয়ার রাস্তাও ভাঙ্গা এবং সরু। কেন্দ্রে যেতে বৈরাণ নদী পার হওয়ার ফুটঅভার ব্রিজটিও নড়বড়ে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যানবাহণ পার হতে হয় ঝুঁকি নিয়ে।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা এক সরকারি কর্মকর্তারা জানান, কক্ষগুলোতে বিদ্যুতের আলো সরবরাহের জন্য অনুরোধ করা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা শারমিন জানান, সমস্যাটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!