কে এম মিঠু, গোপালপুর :
টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের অটোরিকসা চালক ফরহাদ আলী (৩৫) খুনের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে আজ সোমবার সহস্রারাধিক নারী-পুরুষ বিক্ষোভ মিছিলসহ গোপালপুর থানা ঘেরাও করে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন খুনের সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিক্ষুব্দ মিছিলকারীরা থানা চত্বর ত্যাগ করে।
জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর সকালে মির্জাপুর উত্তরপাড়া গ্রামের অটোরিকসা চালক ফরহাদ আলীর সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে প্রকাশ্যে প্রতিবেশী সন্ত্রাসীদের হাতে খুন। সন্ত্রাসী কর্তৃক লাঠিতে ফরহাদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে প্রথমে তাকে গোপালপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্খাজনক হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সেখান থেকে ঢাকায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।
নিহতের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মিন্টু মিয়া গত ১৬ নভেম্বর বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী মো. শাহজাহান (৪০), শামীম (২০), শাকিল (১৮) ও মর্জিনা বেগম (৩৮) কে আসামী করে গোপালপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ৩০২/৩৪।
গ্রামবাসির অভিযোগ, আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফিরা এবং বাদি ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিলেও থানা পুলিশ আসামী গ্রেফতারের কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা। ফলে বাদীর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
নিহত ফরহাদের তিন সন্তান শাহাদৎ, শারমীন ও সাজ্জাদ প্রশাসনের কাছে জোর দাবী করেন, আমরা আমার নিরীহ পিতার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
স্ত্রী সাজেদা জানান, নিহত ফরহাদই ছিলো পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষ। অটোরিকসা চালিয়ে কলেজ পড়ুয়া এক ছেলে, সম্প্রতি জেএসসি পরীক্ষা শেষ করা এক মেয়ে ও মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছেলের পড়াশুনার খরচসহ খুবই দারিদ্রতার তিনি সাথে সংসার চালাতো। স্বামী ফরহাদকে হারিয়ে এখন আমার সংসার চালানো ও সন্তানদের ভবিষৎ অন্ধকার। যারা আমার স্বামীকে এভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে খুন করলো সরকারের কাছে আমি তাদের ফাঁসি দাবী করছি।
এ ব্যাপারে তদন্তকারি দারোগা আব্দুল হাই জানান, আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হয়েছে। পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি। গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।