আজ || রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫
শিরোনাম :
  গোপালপুরে এসএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা       ধনবাড়ি মডেল প্রেসক্লাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদ ও দোয়া       গোপালপুরে মরহুম আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট       টাঙ্গাইল-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শাকিল উজ্জামান       গোপালপুরে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ       গোপালপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন সালাম পিন্টু       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ছাত্রদলের বিক্ষোভ       গোপালপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত       গোপালপুরে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল       গোপালপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় ১২ মামলার আসামি চাকমা জাহাঙ্গীর নিহত    
 


গোপালপুরে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে তালা; শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত

কে এম মিঠু, গোপালপুর : টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হেমনগর ইউনিয়নের খামারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি নির্ধারণকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার সকাল দশটায় স্কুলে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেছে গ্রামবাসী। এতে শিক্ষা গ্রহনের বাধায় পড়েছে বিদ্যালয়ের ১৪১ জন শিক্ষার্থী।

স্থানীয়দের অভিযোগ, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম সরকারি নীতিমালা অমান্য করে গ্রামবাসীর কাউকে না জানিয়ে গোপনে গতবারের ন্যায় এবারও তিন বছর মেয়াদি স্কুল সভাপতির চেয়ারে বসিয়েছে নিজের ছোট ভাই যুবলীগ কর্মী মনসুর আলম বাদলকে। এই মনসুর আলম বাদল ও প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক তথা গ্রামের কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছেমত স্কুল পরিচালনা করায় ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রাচীন এ বিদ্যালয়টিতে কোন রকম উন্নয়নের ছোঁয়া মেলেনি। দুই ভাই মিলে ভাগাভাগিতে ব্যস্ত থাকে স্কুলের নামে আসা বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ও বরাদ্দতে। স্কুল ফাকি দিয়ে শহরে অবস্থান করারও অভিযোগ পাওয়া যায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গ্রামবাসী উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই পকেট কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিবাবক জানান, পাশর্^বর্তী গ্রাম বানিপাড়া, ফুলবাড়ি ও এই খামারপাড়া গ্রামের শতশত ছাত্রছাত্রীর মাধ্যমে স্কুলটি এক সময় খুবই জমজমাট ভাবে চলতো। লেখাপড়ার মানও ছিলো আশানুরুপ। কিন্তু বর্তমানে স্কুল পরিচালনা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় স্কুলটি ধ্বংসের কাছাকাছি। আশেপাশে কোন স্কুল থাকলে আজই আমার সন্তানকে এই স্কুল থেকে নিয়ে গিয়ে সেই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিতাম।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলামের কাছে স্কুলে তালা দেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, এ কমিটির সভাপতি পদে মনসুর আলম বাদলকে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসই নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুধুশুধু গ্রামবাসী স্কুলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার স্কুলের জরুরী মিটিং এ ঘটনার সমাধান করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসূমুর রহমান জানান, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে একজন শিক্ষক কখনোই স্কুলের পাঠদান বন্ধ রেখে চুপিচুপি স্কুলের কোন ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রশ্নই উঠেনা। আমি এক্ষুনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!