একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযু্দ্ধে ভূমিকা রাখায় আরো ৬৩ বিদেশি বন্ধুকে সম্মাননা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা পাওয়া এই বন্ধুদের মধ্যে রয়েছেন কমিউনিস্ট নেত্রী ইলা মিত্র, তার স্বামী রমেন মিত্র, গণসঙ্গীতের প্রবাদপুরুষ সলিল চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যাও ও মান্না দে, চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক ঋত্মিক ঘটক ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন।
সম্মাননা পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে খেতাব অর্জনকারী একমাত্র বিদেশি ডাব্লিও জে এস ওডারল্যান্ডও।
একাত্তরে বাটা সু কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এই নাগরিক বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত।
একাত্তরে বাঙালির পক্ষে কথা বলে নিজ দেশের শাসনকদের রোষাণলে পড়া পাকিস্তানি সাইয়েদ আসিফ শাহকারও এবার সম্মাননা নেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ হাতে সম্মাননা পদক ও সনদ তুলে নেন বর্তমানে সুইডেনের নাগরিক আসিফ শাহকার।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম।
এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়েছে।আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর সুস্থতার জন্য জাতির কাছে দোয়া চান।
‘নাচোলের রানী মা’ হিসেবে পরিচিত প্রয়াত ইলা মিত্র ও রমেন মিত্রের পক্ষে পদক নেন তাদের ছেলে রমেন্দ্রনাথ মিত্র মোহন।
ইলা মিত্রের বাড়ি এদেশেই। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর নির্যাতনের মুখে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ইলা মিত্র বামফ্রন্টের হয়ে ভারতের লোকসভায়ও প্রতিনিধিত্ব করেন।
প্রয়াত মকবুল ফিদা হুসেনের পক্ষে তার ছেলে শামসাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেন। ঋত্মিক ঘটকের পদক নেন তার মেয়ে সমহিতা ঘটক।
প্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষে তার ভাই অনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় পদক নেন।
ওডারল্যান্ডের পক্ষে পদক নেন ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার।
এবার সম্মাননা পাওয়াদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিক বাঘা যতীন, নেপাল নাগ, নিবেদিত নাগ, সাংবাদিক বাসব সরকার, বরুণ সেনগুপ্ত প্রমুখ।
৬২ ব্যক্তির পাশাপাশি এবার সম্মাননা দেয়া হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র প্রাভদাকে। প্রাভদার উপসম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। গত বছরের ২৫ জুলাই তার পূত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে এই সম্মাননাপত্র তুলে দেয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ৮৩ জন বিদেশিকে গত ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়া হয়।
তৃতীয় পর্বে গত ২০ অক্টোবর আরো ৬১ জন বিদেশি বন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হয়। ।
শনিবার বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা পাওয়া এই বন্ধুদের মধ্যে রয়েছেন কমিউনিস্ট নেত্রী ইলা মিত্র, তার স্বামী রমেন মিত্র, গণসঙ্গীতের প্রবাদপুরুষ সলিল চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যাও ও মান্না দে, চলচ্চিত্রকার ও সাহিত্যিক ঋত্মিক ঘটক ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন।
সম্মাননা পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে খেতাব অর্জনকারী একমাত্র বিদেশি ডাব্লিও জে এস ওডারল্যান্ডও।
একাত্তরে বাটা সু কোম্পানির কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এই নাগরিক বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত।
একাত্তরে বাঙালির পক্ষে কথা বলে নিজ দেশের শাসনকদের রোষাণলে পড়া পাকিস্তানি সাইয়েদ আসিফ শাহকারও এবার সম্মাননা নেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ হাতে সম্মাননা পদক ও সনদ তুলে নেন বর্তমানে সুইডেনের নাগরিক আসিফ শাহকার।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম।
এই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানানো হয়েছে।আর প্রধানমন্ত্রী তাঁর সুস্থতার জন্য জাতির কাছে দোয়া চান।
‘নাচোলের রানী মা’ হিসেবে পরিচিত প্রয়াত ইলা মিত্র ও রমেন মিত্রের পক্ষে পদক নেন তাদের ছেলে রমেন্দ্রনাথ মিত্র মোহন।
ইলা মিত্রের বাড়ি এদেশেই। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পর নির্যাতনের মুখে তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট আন্দোলনে সক্রিয় ইলা মিত্র বামফ্রন্টের হয়ে ভারতের লোকসভায়ও প্রতিনিধিত্ব করেন।
প্রয়াত মকবুল ফিদা হুসেনের পক্ষে তার ছেলে শামসাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেন। ঋত্মিক ঘটকের পদক নেন তার মেয়ে সমহিতা ঘটক।
প্রয়াত সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষে তার ভাই অনীল গঙ্গোপাধ্যায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পক্ষে ছেলে জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় পদক নেন।
ওডারল্যান্ডের পক্ষে পদক নেন ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার।
এবার সম্মাননা পাওয়াদের মধ্যে ছিলেন রাজনীতিক বাঘা যতীন, নেপাল নাগ, নিবেদিত নাগ, সাংবাদিক বাসব সরকার, বরুণ সেনগুপ্ত প্রমুখ।
৬২ ব্যক্তির পাশাপাশি এবার সম্মাননা দেয়া হয় সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র প্রাভদাকে। প্রাভদার উপসম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা বিদেশি বন্ধুদের সম্মান জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা সম্মাননা দেয়া হয় ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। গত বছরের ২৫ জুলাই তার পূত্রবধূ সোনিয়া গান্ধীর হাতে এই সম্মাননাপত্র তুলে দেয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্বে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা ৮৩ জন বিদেশিকে গত ২৭ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা’ ও ‘মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা’ দেয়া হয়।
তৃতীয় পর্বে গত ২০ অক্টোবর আরো ৬১ জন বিদেশি বন্ধুকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা জানানো হয়।